শিল্পমন্ত্রীকে বিপিজিএমইএ নেতারা

প্লাস্টিক নগরীতে কারখানা স্থানান্তরে ৫০ একর জমি অপ্রতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্লাস্টিক নগরীতে কারখানা স্থানান্তরে ৫০ একর জায়গা যথেষ্ট নয়। এ খাতের উদ্যোক্তাদের অনুকূলে ১০০ একর জমি প্রয়োজন। গতকাল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক প্রতিনিধি দল।

শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিপিজিএমইএ নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক প্রতিনিধি দল শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বিপিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কেএম ইকবাল হোসাইন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ ও মো. ইউসুফ আশরাফ, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাত্কালে প্লাস্টিক শিল্প খাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন, একটি সময়োপযোগী প্যাকেজিং আইন প্রণয়ন, কেমিক্যাল পল্লীতে প্লাস্টিক সেক্টরকে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্লাস্টিক শিল্পনীতি প্রণয়ন, প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন প্রদান এবং এ খাতে পরিবেশ অধিদপ্তরসংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

সাক্ষাত্কালে বিপিজিএমইএ নেতারা পুরান ঢাকা থেকে প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপনের দাবি জানান। তারা বলেন, এ নগরীর জন্য নির্ধারিত ৫০ একর জায়গা প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য যথেষ্ট নয়। প্লাস্টিককে পেট্রোকেমিক্যালজাত পদার্থ বিবেচনা করে তারা কেমিক্যাল পল্লীর জন্য নির্ধারিত ৩১০ একর জমির মধ্যে ১০০ একর জমি প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের অনুকূলে বরাদ্দের দাবি জানান। তারা প্লাস্টিক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় তারা প্লাস্টিক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি খসড়া নীতি শিল্পমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখানে বিসিক বাস্তবায়নাধীন কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্পে পুরান ঢাকার ক্ষুদ্র প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য এ সুযোগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে সরকার সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক শিল্প খাতের বিকাশে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ শিল্পকে রাজধানী থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিগগিরই প্লাস্টিক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন