শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস নামটি অ্যাথলেটিকসের ভুবনে নতুন নয়। ২০০৮ সাল থেকে কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের পাশাপাশি ট্র্যাক মাতিয়েছেন এ জ্যামাইকান নারী। ১০০ মিটারে দুটি অলিম্পিক ও তিনটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মুকুট তার। পরশু রাতে কাতারের দোহায় জিতলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের চতুর্থ স্বর্ণ। তবে এবারেরটি অন্যগুলোর চেয়ে একটু আলাদা। মা হওয়ার পর এই প্রথম বড় কোনো আসরে ১০০ মিটারে শ্রেষ্ঠত্ব দেখালেন। তার গৌরবের রাতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালিসন ফেলিক্স ভেঙে দিয়েছেন বোল্টের সর্বোচ্চ স্বর্ণের রেকর্ড। নতুন ‘মা’ ফেলিক্স বিশ্ব আসরে এখন ১২ স্বর্ণের গর্বিত মালিক।
দোহার খলিফা স্টেডিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় দিন আলো কাড়েন ফ্রেজার-প্রাইস ও ফেলিক্স। দুজনই ফিরেছেন মা হওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জকে জয় করে। এবার তাদের অন্য লড়াই, তাতেও উতরে গেলেন দুজন।
প্রথম সন্তানের জন্মের কারণে ২০১৭ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা হয়নি ফ্রেজার-প্রাইসের। কাতারে ফিরেই ঝড় তুললেন। নারীদের ১০০ মিটারে ১০ দশমিক ৭১ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতলেন। ব্রিটেনের ডিনা অ্যাশার-স্মিথ ১০ দশমিক ৮৩ সেকেন্ডে রৌপ্য এবং আইভরি কোস্টের ম্যারি-হোসে টা লু ১০ দশমিক ৯০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত দৌড়ে শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করেন ফ্রেজার-প্রাইস।
জয় শেষে ফ্রেজার-প্রাইসের প্রতিক্রিয়া, ‘সন্তান জন্মের পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এখানে আবার দাঁড়াতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। নারীরা নিজেদের তুলে ধরছে। আমরা সবসময়ই পারফর্ম করতে ভালোবাসি। আরেকটি জয় পেয়ে আমি অনেক অনেক খুশি।’
সমাপ্তিরেখা ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেজার-প্রাইসের নামের পাশে লেখা হয়ে যায় চতুর্থ স্বর্ণ। এর আগে ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৫ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দ্রুততম মানবী হন তিনি। এবার জিতলেন চতুর্থ মুকুট। দৌড় শেষে সন্তান জিয়নকে কোলে নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন জ্যামাইকান এ সুপারস্টার।
ফ্রেজার-প্রাইস ট্র্যাকে নামার আগেই তার স্বদেশী বোল্টের স্বর্ণের রেকর্ডটা নিজের করে নেন ৩৩ বছর বয়সী ফেলিক্স।