এক বছরেই তৈরি ক্লিন্ট ইস্টউডের ছবি!

ফিচার ডেস্ক

একজন নায়ক কীভাবে ভুল ধারণায় খলনায়কে পরিণত হয় এবং ভুল খবরে জনতার রায়, ক্ষোভ কীভাবে কোনো ভুক্তভোগীর জীবনকে বদলে দিতে পারে, তা নিয়ে সমৃদ্ধ এক ন্যারেটিভ পাওয়া যাবে রিচার্ড জুয়েল ছবিতে

পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউড কাজ করেন দ্রুতগতিতে, খুব দ্রুতগতিতে। তিনি কী চান, সেটা তার কাছে স্পষ্ট থাকে। এক বা দুই শটেই তার প্রয়োজনীয় দৃশ্যটি তৈরি হয়ে যায়। তাই এ বছরের শুরুতে তিনি যে ছবির কাজ শুরু করেছিলেন, তার শুটিং এখনই শেষ হয়ে গেছে এবং ওয়ার্নার ব্রস স্টুডিও ছবিটি মুক্তি দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ইস্টউড পরিচালিত ছবির নাম রিচার্ড জুয়েল। রিচার্ড জুয়েল নামের এক সিকিউরিটি গার্ডের জীবনে ঘটা ঘটনাকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে রিচার্ড জুয়েল।

রিচার্ড জুয়েলের কাহিনী জানতে আমাদের ফিরতে হবে ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিক গেমসে। এই অলিম্পিকে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছিলেন। রিচার্ড জুয়েল নামের একজন সিকিউরিটি গার্ড সন্দেহজনক একটি ব্যাগপ্যাক শনাক্ত করেন এবং আশপাশের এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নেন। এতে প্রাণ বেঁচে যায় অনেক মানুষের। তারপর পরিস্থিতি বদলে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় উল্টো জুয়েলকেই সন্দেহ করা হয়। ১৮০ ডিগ্রি উল্টে যায় তার জীবন। যাহোক, শেষমেশ প্রমাণ হয়েছিল যে জুয়েল নির্দোষ।

একজন নায়ক কীভাবে ভুল ধারণায় খলনায়কে পরিণত হয় এবং ভুল খবরে জনতার রায়, ক্ষোভ কীভাবে কোনো ভুক্তভোগীর জীবনকে বদলে দিতে পারে, তা নিয়ে সমৃদ্ধ এক ন্যারেটিভ পাওয়া যাবে রিচার্ড জুয়েল ছবিতে।

ক্লিন্ট ইস্টউড ছবি নির্মাণকে ব্যক্তিগত শখ হিসেবে বিবেচনা করেন। এ মূল্যায়ন তার ভক্তদের কাছে শুনতে খারাপ লাগলেও খতিয়ে দেখলে এর সত্যতা মিলবে। ওয়ার্নার ব্রস ইস্টউডের প্রায় সব ছবিকে প্রযোজনা করেছে। তারা ক্লিন্টের শেষ দুটো ছবি দ্য ১৫: ১৭ টু প্যারিস এবং দ্য মিউলআটলান্টায় সমালোচকদের জন্য প্রদর্শন করেছে। সম্ভবত ছবি দুটো নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরে অন্য কারো জন্য প্রদর্শিত হবে না।

ইস্টউড জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা, নির্মাতা। তিনি ছবি নির্মাণ করেন কম খরচে। তার পেছনে প্রযোজকদের খরচ করতে হয় কম কিন্তু উচ্চ মুনাফা পাওয়া যায়।

ইস্টউড পরিচালিত রিচার্ড জুয়েল মুক্তি পাবে ১৩ ডিসেম্বর। ছবিতে অভিনয় করেছেন স্যাম রকওয়েল, ক্যাথি বেটস, জন হ্যাম ও অলিভিয়া ওয়াইল্ড।

 

সূত্র: কোলাইডার

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন