মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব ফেলছে আর্জেন্টিনার শস্য উৎপাদনে। স্থানীয় জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশটির সবচেয়ে বড় শস্য আবাদি অঞ্চলের কিছু অংশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে এ অঞ্চলে চাষ হওয়া বিভিন্ন শস্য বিশেষত ভুট্টা, গম ও সয়াবিনের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের
আবহাওয়াবিদ ও বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জের আবহাওয়া পরামর্শক এডুয়ার্ডো
সিয়েরা বলেন, দেশটির শস্য উৎপাদনের সবচেয়ে বড় অঞ্চল পাম্পাসের আবহাওয়া ভালো অবস্থানে
রয়েছে। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের এক-পঞ্চমাংশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে চাষকৃত ফসলের উৎপাদন ব্যাহত
হচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে দেশটির শষ্য উৎপাদন বিশেষ করে ভুট্টা, গম
ও সয়াবিনের উৎপাদন কমিয়ে আনবে।
এরই মধ্যে ২০১৯-২০ মৌসুমে
আর্জেন্টিনার ভুট্টা, গম ও সয়াবিন উৎপাদনের প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছেন এডুয়ার্ডো সিয়েরা।
এক্ষেত্রে তিনি গম উৎপাদনের প্রাক্কলন দুই কোটি থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ টনে নামিয়ে
এনেছেন। এছাড়া ভুট্টা ও সয়াবিন উৎপাদনের প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছেন যথাক্রমে চার ও
পাঁচ কোটি টনে।
তিনি বলেন, পাম্পাস
আবাদি এলাকার ৮০ শতাংশ ফসল ভালো অবস্থানে আছে। তবে ২০ শতাংশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ
করছে। আর্জেন্টিনায় উৎপাদন হওয়া মোট গমের ৩০ শতাংশ আসে এ অঞ্চল থেকে। সয়াবিন ও
ভুট্টা উৎপাদন হয় যথাক্রমে ২০ ও ২৫ শতাংশ।
এছাড়া মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) জানিয়েছে, গত
বছরের তুলনায় এবার আর্জেন্টিনার শস্য উৎপাদন কমে যাবে। ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, এবার
উৎপাদন মৌসুমে দেশটিতে সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে ৫ কোটি ৩০ লাখ টন। আগের মৌসুমে
উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫৩ লাখ টন। ভুট্টা উৎপাদনের পূর্বাভাস করেছে পাঁচ কোটি
টন, আগের
মৌসুমে উৎপাদন হয়েছিল ৫ কোটি ১০ লাখ টন। তবে ইউএসডিএ জানিয়েছে, দেশটিতে
এবার গমের উৎপাদন সামান্য বেড়ে ২ কোটি ৫ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে।