রফতানি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের শক্তিশালী অবস্থানের সুবাদে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দ্রুততর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ভিয়েতনাম। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
ভিয়েতনামের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর
জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের উপাত্ত অনুসারে, এক বছর আগের তুলনায় চলতি বছরের তৃতীয়
প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের সংশোধিত ৬
দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে বেশি। তৃতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি ব্লুমবার্গ
পরিচালিত মতামত জরিপে চারজন অর্থনীতিবিদের করা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে
বেশি।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে ভিয়েতনামের
অর্থনীতি এক বছর আগের তুলনায় ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে বলে পরিসংখ্যান
দপ্তরের উপাত্তে দেখা গেছে।
জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের প্রধান
নগুয়েন বিকলাম বলেন, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি ছিল
ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। যার পরেই অবদান রয়েছে সেবা খাতের। ভোক্তামূল্য শাখার প্রধান
দো থি নগোক বলেন, ৩ শতাংশের কম মূল্যস্ফীতি দিয়ে চলতি বছর শেষ করতে পারে ভিয়েতনাম; যা
সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশের চেয়ে কম। মূলত খাদ্যমূল্য স্থিতিশীল
থাকায় দেশটিতে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিসংখ্যান দপ্তরের কৃষি বিভাগের
প্রধান লে ত্রং হিয়েউ জানান,
সেবা ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে শক্তিশালী
প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও এক বছর আগের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটির কৃষি উৎপাদন
প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে খাতটির
প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। মূলত আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে
ভিয়েতনামে শূকরের সংখ্যা ১৯ শতাংশ কমেছে,
যা কৃষি উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হ্রাসে প্রভাব ফেলেছে।
এক বছর আগের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম
নয় মাসে ভিয়েতনামের রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ ও আমদানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৯
শতাংশ। এক বছর আগের তুলনায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত
বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চীন
বাণিজ্যযুদ্ধ ভিয়েতনামের মতো রফতানিনির্ভর দেশগুলোর সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
অন্যদিকে শুল্ক এড়াতে ব্যবসাগুলো চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে ভিয়েতনামে নিয়ে আসায়
ইতিবাচক সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে।