সিরাজগঞ্জে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল এসব মামলার রায় দেয়া হয়। এর মধ্যে সালমা খাতুন হত্যা মামলায় তার স্বামী রাশিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ফরিদুল হত্যায় আসামি আব্দুল আলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডিত রাশিদুল ইসলাম শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে এবং আব্দুল আলিম সদর উপজেলার শিয়ালকোল গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে।
সালমা খাতুন হত্যা মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ার পারভেজ লিমন জানান, ২০০৯ সালে পোতাজিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে রাশিদুল ইসলামের সঙ্গে আন্দারকোটা পাড়ার আব্দুস ছালামের মেয়ে সালমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রাশিদুল তার স্ত্রী সালমাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করেন। এ অবস্থায় সালমা গর্ভবতী হলে তাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে রাশিদুল তার শ্বশুর বাড়িতে এসে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর তিনি শ্বশুর বাড়ির কাছে তারিকুল ইসলামের বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে সালমাকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। শুনানি শেষে গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামি রাশিদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
অন্যদিকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১১ সালের ১ মার্চ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রহ্মখোলা গ্রামের হাজী আব্দুল কাদেরের ছেলে ফরিদুলকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ম-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামিদের মধ্যে আব্দুল আলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে মামলার আরেক আসামি হজরত আলীকে খালাস দেয়া হয়েছে।