এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িংয়ের কোম্পানি সচিব শহীদুল আরেফিন বণিক বার্তাকে বলেন, অ্যাকর্ড আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর থেকেই ক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ কমে গেছে। এতে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতদিন সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে আমরা কারখানায় আংশিক উৎপাদন চালু রেখেছি। কিন্তু বকেয়া থাকার কারণে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ আমাদের কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতে বর্তমানে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আমরা ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, সংকট কাটিয়ে আবার উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইপিজেডের একজন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, অনেক দিন ধরেই মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না। তাছাড়া তাদের জমির লিজের অর্থও বকেয়া রয়েছে। এজন্য মিথুন নিটিংসহ ২৫টি কোম্পানিকে নোটিস দেয়া হয়েছে। তারা আমাদের পাওনা পরিশোধ করলেই আমরা গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেব।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে কারখানার সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না থাকায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মিথুন নিটিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার সেফটি ইন বাংলাদেশ। এর পর থেকেই কাঙ্ক্ষিত হারে ক্রয়াদেশ না পেয়ে ব্যবসায়িকভাবে চাপে পড়ে কোম্পানিটি। এতে ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ৫ কোটি ৯৭ লাখ এবং ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা কর-পরবর্তী লোকসান হয় কোম্পানিটির।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেডের সম্মিলিতভাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৯ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫২ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিক ও তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল যথাক্রমে ১ টাকা ৩৫ পয়সা ও ৫৯ পয়সা। এ হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাস ও তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে যথাক্রমে ১২ পয়সা ও ১০ পয়সা।
লোকসানে থাকা মিথুন নিটিং ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। গেল হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস ছিল ১৯ টাকা ৭৫ পয়সা। লোকসানের কারণে ২০১৭ হিসাব বছরেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি তারা। সে বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১ টাকা ৮৪
- ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না শেয়ারদর
- নাবিল ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি আইএফআইসি
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ২৬ শতাংশ
- দুই কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- প্রথম প্রান্তিকে হাইডেলবার্গের নিট মুনাফায় প্রবৃদ্ধি
- বারাকা পাওয়ার পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা