অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ পর্ষদ ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের

জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিধিমালা মানছে না। পরিস্থিতিতে শিক্ষার নামে যা হচ্ছে, তা শিক্ষা ব্যবসা তথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চলছে ভাড়া বাড়িতে, কোনোটিতে অনেক বিভাগে স্থায়ী ফ্যাকাল্টি নেই। আবার কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চার বছর চলছে উপাচার্য ছাড়াই। এভাবে উচ্চশিক্ষার নামে যারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তো শুধু সনদ বিতরণের প্রতিষ্ঠান নয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে একই সঙ্গে জ্ঞান বিতরণ জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়। আর জ্ঞান সৃষ্টির উপায় হলো গবেষণা। কিন্তু বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগই নেই। যেখানে স্থায়ী শিক্ষক নেই, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো শিক্ষা সরঞ্জাম নেই, সেখানে শিক্ষা গবেষণা কীভাবে হবে। এরই মধ্যে গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ পর্ষদ রয়েছে মাত্র ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। খবরটি বেসরকারি উচ্চশিক্ষার প্রেক্ষাপট থেকে দুঃখজনক। এক্ষেত্রে আইনের দুর্বলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই করছে না বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সিন্ডিকেট সভা, একাডেমিক কাউন্সিল অর্থ কমিটির কোনো মিটিং। এতে একদিকে যেমন তারা আইনের লঙ্ঘন করে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভেঙে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড। বিনষ্ট হচ্ছে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনও অসহায় হয়ে পড়েছে নিয়ম না মানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে। ইউজিসি সূত্র বলছে, দফায় দফায় তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কমিটির কোনো সভা পরিচালনা করছে না।

আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ট্রাস্টি বোর্ড, একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট সভা অর্থ কমিটির বৈঠক হতে হবে নিয়মিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে এসব সভা করে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিক পথে পরিচালনার চেয়ে অর্থপ্রাপ্তিকেই মুখ্য মনে করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের সংকুলান এবং সার্বিক তদারকি চূড়ান্ত অনুমোদনের দায়িত্ব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ওপর। আর একাডেমিক প্রশাসনিক কার্যক্রমের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য রয়েছে শীর্ষ তিনটি পর্ষদসিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল অর্থ কমিটি। আইনে এসব পর্ষদের কাজের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রটি বর্তমানে বাণিজ্যিক লাভ-লোকসানের খেরোখাতায় পরিণত হয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়া দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। অনেক মালিক অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেন। কিছু বলতে গেলে এমনকি ইউজিসিকেও চোখরাঙানি দেখতে হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ২০১৪ সালের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ার অনুপাতে মন্ত্রণালয় ইউজিসির জন্য বরাদ্দ জনবল বাড়েনি। এক্ষেত্রে কোনো সুষ্ঠু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। এর আগে এক সমীক্ষায় দে??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন