ভারতের দুই প্রতিষ্ঠান সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও ডা. রেড্ডির তৈরি কাঁচামাল (এপিআই) দিয়ে রেনিটিডিন ওষুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গতকাল বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও এরই মধ্যে জারি করা হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান দুটির কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি সব ওষুধ কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে হবে। সেগুলো বিক্রি ও বিতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানি করা রেনিটিডিন এইচসিএলে এন-নাইট্রোমেথাইলামাইনের (এনডিএমএ) উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। এতে দাবি করা হয়, রেনিটিডিন ওষুধে এনডিএমএর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনডিএমএ প্রাণীদেহে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
এ গবেষণা প্রকাশের পর বিশ্বব্যাপী রেনিটিডিনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এরই মধ্যে ভারতে তৈরি তাদের রেনিটিডিন ট্যাবলেট বাজার থেকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র স্যান্ডোজের তৈরি রেনিটিডিন ক্যাপসুলের মধ্যে এনডিএমএ উপাদানের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের এ ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেবে বলে জানিয়েছে। কানাডা ও ফ্রান্সও বাজার থেকে রেনিটিডিন প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, হাঙ্গেরি, মেসিডোনিয়া, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডও রেনিটিডিন জেনেরিকের ওষুধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। কানাডার ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপোটেক্সও তাদের রেনিটিডিন ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।