বড় বড় গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হয় যানবাহন। হেঁটে চলতে গিয়েও বিপাকে পড়েন পথচারীরা। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ভাটই বাজার অংশে দীর্ঘদিন ধরে এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। একইভাবে উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজার অংশেও গর্ত ও খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে মহাসড়কটি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ৪৫ কিলোমিটার ঝিনাইদহের মধ্যে পড়েছে। ঝিনাইদহ শহরের আবাবপুর থেকে শেখপাড়া বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের এ অংশে বাজার রয়েছে বেশ কয়েকটি। তবে এর মধ্যে ভাটই ও গাড়াগঞ্জ বাজার এলাকায় মহাসড়কটির অবস্থা একেবারেই বেহাল।
স্থানীয়রা বলছে, বর্তমানে এ দুই বাজারে মহাসড়কের প্রায় ৮০০ মিটার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ভাটই বাজারে আধা কিলোমিটার ও গাড়াগঞ্জ বাজারে রয়েছে ৩০০ মিটার সড়ক। মূলত পিচ উঠে ও গর্তের কারণেই এ পথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ মহাসড়কের এ দুই অংশ মেরামত বা সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
ভাইট বাজারের ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরেই তারা এই কষ্ট ভোগ করছেন। মহাসড়কে যে ইটের সলিং করা হয়েছিল, তা নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন বাজারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে মহাসড়কের প্রায় পুরোটাই বড় বড় গর্তে পূর্ণ। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোয় পানি জমে থাকে। গর্তের কারণে এখানে প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়, ঘটে দুর্ঘটনা।
গাড়াগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের অন্য অংশ মোটামুটি ভালো হলেও ভাটই ও এ বাজারের অংশ বেহাল হয়ে আছে। ফলে মহাসড়কের বাকি পথে সমস্যা না হলেও এ দুই স্থানে এসে দুর্ভোগে পড়তে হয়। গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল হয়ে বিপাকে পড়েন দূরের যাত্রীরা। গর্তের কারণে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও সমস্যা হয়।
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গড়াই পরিবহনের বাসচালক জামিরুল ইসলাম বলেন, ভাটই ও গাড়াগঞ্জ বাজারে এসে তাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। কারণ যেকোনো সময় গর্তে পড়ে বাস উল্টে যেতে পারে। তাছাড়া প্রায় নিয়মিত এখানে যানবাহন বিকল হয়। গর্তের কারণে অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে বাসের যাত্রীদেরও কষ্ট হয়।
এ সড়কের ইজিবাইকচালক আহম্মদ আলী বলেন, মহাসড়কের এমন দুর্দশা মেনে নেয়া
যায় না। এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা হলেও
কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তারা স্থানীয়দের পাশাপাশি যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না।
তবে ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই মহাসড়কের বেহাল অংশ মেরামতের কাজ শুরু করবেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার বলেন, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ভাটই ও গাড়াগঞ্জ বাজার অংশ মেরামতের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এরই মধ্যে এ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই তারা কাজ শুরু করবেন।