এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভারাইন টেকনোলজিস লিমিটেড নামে নতুন একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি চালু করতে যাচ্ছে অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)। ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন সাবসিডিয়ারি গঠনের বিষয়ে অনুমোদন দেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন হবে ১০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির ৭৭ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকবে এসিআই লিমিটেডের কাছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বণিক বার্তার পক্ষ থেকে নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির ব্যবসার ধরন ও উত্পাদনে যাওয়ার সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এসিআইয়ের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখনো পর্যন্ত কোম্পানিটির বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি। তবে আগামী এক সপ্তাহে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এছাড়া উত্পাদন কবে শুরু হবে এ বিষয়ে এখনই বলা সম্ভব নয়।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ডেনমার্কের শীর্ষস্থানীয় জুস প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিও-আরও এ/এস-এর সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে যাওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেয় কোম্পানিটির পর্ষদ। ডিএসইতে দেয়া ঘোষণায় বলা হয়, জয়েন্ট ভেঞ্চারটির নাম হবে এসিআই সিও-আরও বাংলাদেশ লিমিটেড, যার ৪৯ দশমিক ৯০ শতাংশ মালিকানা থাকবে এসিআই লিমিটেডের কাছে। এজন্য দুই বছরে ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিনিয়োগের কথা রয়েছে এসিআইয়ের। জয়েন্ট ভেঞ্চারে বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানি হওয়ায় পরিচালনা পর্ষদ যেকোনো অনুমোদন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের তা জানানো হয়। কিন্তু যেকোনো কার্যক্রম শুরু করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যার কারণে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ শুরু করতে পারেনি এসিআই।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ) এসিআই লিমিটেডের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৮ টাকা ৬৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ২৫ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৯৩ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০৬ টাকা ৬ পয়সা, যা ৩০ জুন ২০১৮ তারিখে ছিল ২২২ টাকা ৯ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১১৫ শতাংশ নগদ ও ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে এসিআই লিমিটেড। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৭৩ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এ সময় কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৪ টাকা ৩১ পয়সা।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এসিআই শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৫৭ টাকা। সমাপনী দর ছিল ২৫৭ টাকা ৬০ পয়সা। দিনভর শেয়ারটির দর ২৫৭ টাকা থেকে ২৬৭