বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যবহার ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়বে। এ সময়ের মধ্যে জ্বালানি ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি থাকবে উন্নত দেশগুলোর সংগঠন ওইসিডির বাইরের দেশগুলোয়। বিশেষ করে এ সময়ে এশিয়ার বাজারে বড় প্রবৃদ্ধি থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর হেলিনিক শিপিং নিউজ।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি আউটলুক-২০১৯ প্রতিবেদনটি গত সপ্তাহে প্রকাশ করে ইআইএ। প্রতিবেদনে ২০১৮-৫০ সাল পর্যন্ত জ্বালানি ব্যবহারের পুর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের এ প্রতিবেদন তৈরিতে বিশ্বের ১৬টি অঞ্চলের জ্বালানি বাজারের তথ্য মূল্যায়ন করা হয়েছে। ওইসিডি ও ওইসিডি বহির্ভুত দেশগুলোকে আলাদা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত শক্তিশালী হওয়া দেশগুলোয়, বিশেষ করে এশিয়ার বাজারে জ্বালানি ব্যবহার বাড়বে। পরিশোধন কেন্দ্র, খনি, উত্পাদন, কৃষি খাত এবং নির্মাণসহ শিল্প খাতে মোট জ্বালানির অর্ধেকের বেশি ব্যবহার হবে। পাশাপাশি এ সময়ে শিল্প খাতে জ্বালানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ বাড়বে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যবহার হবে ৩১৫ কোয়াড্রিলিয়ন (১-এর পরে ১৫টি শূন্য) ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট।
এ সময়ে পরিবহন খাতে জ্বালানির ব্যবহার প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়বে। এর মধ্যে নন-ওইসিডি দেশগুলোয় পরিবহন খাতে ব্যবহার সবচেয়ে বেশি থাকবে। এসব দেশে সংশ্লিষ্ট খাতে জ্বালানির ব্যবহার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। এছাড়া দেশগুলোয় ব্যক্তিগত ও মালবাহী পরিবহন খাতে জ্বালানির ব্যবহারে দ্রুত প্রবৃদ্ধি থাকবে।
ইআইএ বলছে, ২০১৮ সালে নির্মাণ খাতে জ্বালানির ব্যবহার ছিল ৯১ কোয়াড্রিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট। কিন্তু আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় নির্মাণ খাতে ২০৫০ সালের মধ্যে জ্বালানির ব্যবহার ৬০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ১৩৯ কোয়াড্রিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট। মানুষের আয় বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও বিদ্যুত্ সুবিধা বাড়ার ফলে এ সময়ে জ্বালানির চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে, যা মোট জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে দেবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে ৭৯ শতাংশ। ওইসিডি বহির্ভুত দেশগুলোয় জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে। বিশেষ করে এ সময়ের মধ্যে এসব দেশে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি এবং ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিদ্যুত্চালিত রণতরী ও রেল খাতেও বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে।
বিদ্যুত্ উত্পাদনে ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি তথা সৌর, বায়ু ও পানির ব্যবহার বাড়বে। ফলে বিদ্যুত্ উত্পাদনে পেট্রোলিয়ামসহ অন্যান্য জ্বালানির ব্যবহার কমে আসবে। বিশ্বব্যাপী এ সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার বছরে ৩ দশমিক ১ শতাংশ করে বাড়বে। এর বিপরীতে পেট্রোলিয়ামসহ অন্যান্য তরল ব্যবহার বার্ষিক দশমিক ৬ শতাংশ, কয়লা দশমিক ৪ ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে।
ইআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের 
