দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত

author_name

 দেশের দুই জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণহানি হয়েছে দুই রোহিঙ্গার। অন্যদিকে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন একজন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নাফ নদীর কাছে অবস্থিত জালিয়াপাড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে বিজিবি। নিহতরা হলেন দিল আহমদ (২২) দুস্ত মোহাম্মদ (১৯) তাদের বাড়ি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু শহরের বুড়া সিকদারপাড়া গ্রামে।

বিজিবি বলছে, নিহতরা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার সময় তারা নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান পাচার করছিলেন। বিষয়ে টেকনাফ- বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জালিয়াপাড়া এলাকা দিয়ে ইয়াবার বড় একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় বিজিবি। এর ভিত্তিতে বিজিবির হ্নীলা সীমান্ত চৌকির বিশেষ টহল দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর চার-পাঁচ ইয়াবা পাচারকারী একটি নৌকা নিয়ে নাফ নদীর বাংলাদেশ জলসীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। সময় পাচারকারীরা নৌকাটি বাংলাদেশ উপকূলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে। নৌকা ভেড়ানোর পর দুজন সেখান থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে নৌকার ভেতরে অবস্থানরত দু-তিন সন্দেহভাজন ইয়াবা পাচারকারী অতর্কিত বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১০-১২ মিনিট গোলাগুলির পর নৌকাসহ কয়েকজন দ্রুত মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন বিজিবির তিন সদস্যকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক ওই সন্দেহভাজন পাচারকারীকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল করিম (৪৫) নামে মাদক ব্যবসায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা এলাকায় ঘটনা ঘটে। সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে ডিবি পুলিশের এক এএসআই আহত হয়েছেন।

নিহত আব্দুল করিম তারাকান্দা উপজেলার নলচাপড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে তারাকান্দাসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন থানায় ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।

ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ মাদক বিক্রেতারা তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর সন্দেহভাজন মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। সময় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন