রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য জরুরি বিনিয়োগ চায় ইউনিসেফ

বণিক বার্তা ডেস্ক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিতে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ) থেকে প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানানো হয়। খবর বাসস।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চরম সহিংসতার ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিরাট অংশ শিশু ও তরুণ। বর্তমানে তাদের মধ্যে হতাশার ঝুঁকি ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্য থেকে ইউনিসেফ ও তার সহযোগীরা ২ হাজার ১৬৭টি শিক্ষাকেন্দ্রে ১ লাখ ৯২ হাজার শিশুর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করেছে। এর পরও ২৫ হাজারের বেশি শিশু কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না এবং এখনো অতিরিক্ত ৬৪০টি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রয়োজন। এছাড়া ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ৯৭ শতাংশ এখনো কোনো ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশু ও তরুণদের জন্য শুধু বেঁচে থাকাই যথেষ্ট নয়। তাদের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা প্রদান করাও প্রয়োজন। এসব কারণে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় গুণগত শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোয় অধ্যয়নরত কম বয়সী রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং শেখার উপকরণ ক্রমান্বয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরো কাঠামোগত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সহায়তার জন্য ইউনিসেফ এবং অন্য সংস্থাগুলো মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারকে জাতীয় শিক্ষামূলক সম্পদগুলো যেমন—শিক্ষা পাঠ্যক্রম, শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের জন্য ইউনিসেফ আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টমো হোজুমি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো কিশোর-কিশোরীরা প্রতিনিয়ত যেসব ঝুঁকি যেমন পাচার, নির্যাতন, মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের মুখোমুখি হয়, তা মোকাবেলার জন্য তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা। তিনি আরো বলেন, ব্যাপক অর্থে ইউনিসেফ এ প্রজন্মের তরুণদের নিজেদের পরিচয় তৈরিতে সহায়তা করছে এবং যে কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা যাচ্ছে, সেটার সমাধানের অংশ হিসেবে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন