ঈদের ছুটিতে মিরসরাইয়ের পর্যটন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

বণিক বার্তা প্রতিনিধি মিরসরাই

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেছে মিরসরাইয়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয়। ঈদের দিন বিকাল থেকে গতকাল পর্যন্ত উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ঈদের বন্ধে মিরসরাইয়ের মহামায়া ইকোপার্ক, আরশিনগর ও খৈয়াছড়া ঝরনার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করেন অধিকাংশ পর্যটক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ভিড় আজ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত আরশিনগর পর্যটন কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দিন দিদার বলেন, এবারের ঈদুল আজহায় কিছুটা বৈরী আবহাওয়া ছিল। রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে আমরা মনে করেছিলাম এবার পর্যটক হবে না। কিন্তু আশানুরূপ পর্যটক হয়েছে।

এদিকে খৈয়াছড়া ইউনিয়নে পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের পাহাড়ে অবস্থিত খৈয়াছড়া ঝরনায় গতকাল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ঝরনায় নেমে আনন্দ করতে দেখা গেছে সব বয়সী পর্যটকের। তবে বৃষ্টি থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম পর্যটক এসেছে খৈয়াছড়া ঝরনায়।

ঢাকার গুলশান থেকে আসা আবেদীন হাবীব বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনার কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু আসা হয়নি। এবারের ঈদুল আজহায় না এসে পারলাম না। সত্যি ঝরনা যে এত সুন্দর হতে পারে, তা না দেখলে বোঝা মুশকিল।

দুর্গাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মহামায়া ইকোপার্কে সবচেয়ে বেশি পর্যটক লক্ষ করা গেছে। অনেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার নিয়ে এখানে আসেন পিকনিক করতে। এখানে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক। রয়েছে একটি ঝরনাও। লেক ও ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করেন পর্যটকরা।

ফায়ার সার্ভিস কর্মী ইসমাইল হোসেন খোকন জানান, ইঞ্জিনচালিত বোটে করে পর্যটকরা লেকের পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে জলরাশি পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। তবে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সতর্ক রয়েছেন।

চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে আসা সুলতানা ইয়াসমিন জানান, মহামায়া অনেক সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে লেক ও পাহাড়। লেকের পানিতে পাহাড়ে মনোরম দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর। তবে বৃষ্টি থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি না থাকলে পর্যটকদের জন্য আরো সুবিধা হতো।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বিপ্লব বলেন, প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় মহামায়া ইকোপার্কে হাজারো পর্যটকের ঢল নামে। পর্যটকদের কথা চিন্তা করে রাতে আলোকসজ্জা, শৌচাগারসহ বিভিন্ন সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন