এবার বুঝি অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন। নাহ! এ বাড়তি ওজন বোধহয় আর কিছুতেই কমবে না। কারণ ওজন কমানোর জন্য যা যা করার সবই চুকে গেছে। ওজন না কমার আসল কারণ হতে পারে নিয়ম না মেনে চলা আর কিছু বদভ্যাস। দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা এসব বদভ্যাসের কারণেই কমানো সম্ভব হচ্ছে না বাড়তি ওজন। জেনে নিন কী কী কারণে আপনার অজান্তেই বেড়ে চলেছে শরীরের ওজন বা মেদ।
সুস্থ শরীর ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু ওজন বাড়তে থাকে। দৈনিক ১০-১২ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। কারণ পানি দেহের বিপাক ক্রিয়া বাড়ায় ও পাকস্থলীকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে বাধা দেয়।
বেশির ভাগ মানুষই খাবারের ক্যালরি না মেপে খায়। ওজন না কমার এটি অন্যতম একটি কারণ। আবার চর্বিযুক্ত খাবার বাছবিছার না করে খাওয়াও মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই অনেক সময় নানান কিছু করেও শরীরে জমা মেদ অপসারণ করা সম্ভব হয় না।
ওজন কমানোর অন্যতম মূল সূত্র হচ্ছে নিয়মমাফিক জীবনযাপন। কিন্তু অনেকেই বেশ বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটান। ফলে সকালের নাশতাটা আর হয়ে ওঠে না। একবারে দুপুরে অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলে। এতে শরীর একসঙ্গে অনেক ক্যালরি গ্রহণ করে ফেলেন। এটি মুটিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ। তাই প্রতি বেলার খাবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গ্রহণ করতে হবে।
অনেকেই ওজন বাড়ার ফলে ভাত ছাঁটাই করে খাদ্যতালিকা থেকে। অন্যদিকে বাইরের ফাস্টফুড খেয়ে ফেলেন। এতে করে প্রচুর শর্করা ও ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করে। ফাস্টফুড খাবারে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অনেকেই মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাবে—এটা খুবই স্বাভাবিক জেনেও নিজেকে সামলাতে পারেন না অনেকেই। এ বদভ্যাসের কারণেও মেদ বাড়ে। চিনি কেবল ওজনই বাড়ায় না, এটি দাঁত ও ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর।
রাতে খাওয়ার পরই বিছানায় শুয়ে পড়া বেশির ভাগেরই অভ্যাস। আর এ কারণেই মেদ চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। খাওয়ার পর পরই ঘুমোতে গেলে খাবার হজম হওয়ার সময় পায় না, যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। তাছাড়া দিনের বেশির ভাগ সময়ই যদি কেউ শুয়ে-বসে কাটায়, তাহলে শরীরের ক্যালরি খরচ হয় কম। ফলে ওজন বেড়ে যায়।
সূত্র: মেডিকেল এক্সপ্রেস
ফিচার ডেস্ক