ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ : কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রশংসা মোদির

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ভাষায়, এর মধ্য দিয়ে বাস্তবে রূপ নিয়েছে ‘এক জাতি, এক সংবিধান’ স্লোগানটি। গতকাল সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে দেয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। খবর সিএনএন।

বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিলের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের পুরনো ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকে উৎসাহ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নারী, শিশু, দলিত ও উপজাতীয় সম্প্রদায়গুলোর প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্বকে সমান করা হয়েছে বলে এ সময় দাবি করেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি এমন এক সময় এ ধরনের মন্তব্য করলেন, যখন গোটা কাশ্মীরকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢেকে রাখা হয়েছে। অঞ্চলটির সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রহিতকরণের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কয়েক দিন আগে থেকেই গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নয়াদিল্লির ওই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে পরিণত হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।

কাশ্মীর অঞ্চলে জনমিতিতে পরিবর্তন আনার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে দাবি করছেন সমালোচকরা। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে অন্তরায়।

গতকালের ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, নতুন সরকারের ৭০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ৩৭০ ধারাকে ইতিহাসে পরিণত করা হয়েছে। সংসদের উভয়কক্ষেই সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ এ পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, সবাই সব সময় এর পক্ষেই ছিলেন; কিন্তু কোনো একজনের উদ্যোগ গ্রহণের অপেক্ষা করছিলেন তারা।

এর একদিন আগে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে এক ভাষণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, তার দেশ কাশ্মীর নিয়ে প্রয়োজন পড়লে শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে প্রস্তুত।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, আমি যুদ্ধ চাই না। কিন্তু এটা এখন পরিষ্কার, তারা কোনো কথা বলতে চায় না। যুদ্ধ আমাদের কারো জন্যই সহায়ক কোনো কিছু হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন