বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনে একটাই ব্রত ছিল বাংলা ও বাঙালির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা। তাই জনগণের মুক্তির জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের পথ। তবে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। গতকাল রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কথা বলেন।
এর আগে বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আলাদা শোকপদযাত্রা বের করা হয়। এ পদযাত্রা উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের মূল্যবান সময়টুকু কাটিয়েছেন পাকিস্তানের কারাগারে। যে নেতা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ সামনে নিয়ে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেন, সর্বোপরি যে নেতার জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না, নির্মম পরিতাপের বিষয়, সেই নেতাকে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট তারই প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশে বুলেটের আঘাতে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, যে নেতার হূদয়জুড়ে ছিল বাংলাদেশের গরিব-দুঃখী মানুষ, যাদের মুক্তির জন্য তিনি জীবনের প্রায় ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিচক্র মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করেন। আমরা সেদিন আওয়ামী লীগের রক্তে ভেজা পতাকা তার হাতে তুলে দিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি বঙ্গবন্ধু সমাপ্ত করতে পারেননি, শেখ হাসিনা দায়িত্বভার গ্রহণ করে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে তিনি আজ মর্যাদাশীল অবস্থানে আসীন করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াত ব্যর্থ হয়েছে। তারা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত শুরু করেছে। তাদের চক্তান্ত থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন রেজা, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, চারঘাট পৌরসভা চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, কৃষি কর্মকর্তা ভজহরী দাসসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
