স্বামীকে শেয়ার উপহার দেবেন ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক তসলিমা আখতার তার হাতে থাকা কোম্পানির ২৩ লাখ ৮০ হাজার ১৭৬টি শেয়ারের মধ্যে ৮ লাখ ২৭ হাজার শেয়ার তার স্বামী ও কোম্পানির অন্যতম উদ্যোক্তা কামালুদ্দিন আহমেদকে উপহার দেবেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুমোদনসাপেক্ষে এ লেনদেন সম্পন্ন করা হবে।

২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৮ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ২১ টাকা ৫৯ পয়সা।

এদিকে এক বছরের ব্যবধানে কর পরিশোধের পর ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের নিট মুনাফা ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ২০৭ টাকা কমেছে। গেল হিসাব বছর কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ৩৩৪ টাকা। আগের বছর নিট মুনাফা ছিল ১৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪১ টাকা।

চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা একই ছিল। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৩ পয়সা।

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ দেয় ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স। ২০১৬ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের পাশাপাশি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।

১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৮ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন