জুলাইয়ে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত জুলাইয়ে ভারতের রফতানির পরিমাণ ২ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৩৩ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। বুধবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে আরো দেখা গেছে, আমদানির পরিমাণ ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে জুলাইয়ে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। খবর লাইভমিন্ট।

গত বছর একই মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৬৩ কোটি ডলার।

চলতি বছর রফতানি বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে রাসায়নিক, লৌহ ও ওষুধ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি। এছাড়া মুক্তা, গহনা, প্রকৌশল পণ্য, পেট্রোলিয়াম পণ্যের চালানে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে বলে উপাত্তে উঠে এসেছে।

এদিকে গত মাসে ভারতের তেল আমদানি ২২ দশমিক ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৯৬০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং তেলবহির্ভূত পণ্যের চালান ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩ হাজার ১৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে দেশটির রফতানির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১০ হাজার ৭৪১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে আমদানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ সংকুচিত হয়ে ১৬ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। জুলাইয়ে সোনা আমদানির পরিমাণ ৪২ দশমিক ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১৭১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

পৃথকভাবে ভারতের পাইকারি মূল্যস্ফীতি ২৫ মাসের সর্বনিম্নে ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার ফলে ম্যানুফ্যাকচারাররা যে দাম বাড়াতে পারছে না এতে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

গত জুলাইয়ে খুচরা মূল্যসূচকে ৬৪ শতাংশ অবদান রাখা ম্যানুফ্যাকচারিং মূল্যস্ফীতি গত বছরের একই মাসের তুলনায় মাত্র শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। গত জুনে যেখানে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ছিল ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ৬০ শতাংশ অবদান রাখা গাড়ি শিল্প গভীর সংকটে রয়েছে। জুলাইয়ে দেশটিতে যাত্রীবাহী বাস বিক্রিতে গত দুই দশকের মধ্যে রেকর্ড শ্লথগতি দেখা দিয়েছে। গাড়ি শিল্পসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র আরো জানায়, অর্থায়ন সংকটে অভ্যন্তরীণ চাহিদা সংকুচিত হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের পাইকারি মূল্যস্ফীতি উপাত্তে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে আগামী অক্টোবরে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) পরবর্তী পলিসি মিটিংয়ে সুদের হার কমানো হতে পারে। এ নিয়ে টানা পাঁচবার সুদহার কমালো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। আরেকবার সুদহার কমানো হতে পারে এ সম্ভাবনার কথা স্বীকার করে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকস মনে করে এ রকম নীতি গ্রহণের পরও মূল্যস্ফীতি ঠেকানো যাবে না।

আগামী মাসগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং প্রকৃত ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ফের বৃদ্ধি পেতে পারে। গত জুলাইয়ে পাইকারি খাদ্যমূল্য বছরওয়ারি ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে পেট্রল, ডিজেল, কুকিং গ্যাসসহ জ্বালানি পণ্যে পাইকারি মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া দেশটির রিটেইল মূল্যস্ফীতি গত জুলাইয়ে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন