নিয়োগ বাড়ায় অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও চাঙ্গা অস্ট্রেলিয়ার কর্মসংস্থান

বণিক বার্তা ডেস্ক

জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজার চাঙ্গা ছিল। পূর্বাভাসের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে দেশটির কর্মসংস্থান। এ সময়ে দেশটিতে বেকারত্বের হার আগের ৫ দশমিক ২ শতাংশে বজায় ছিল। গত মাসে কর্মসংস্থান রেকর্ড পরিমাণ বাড়ায় বেকারত্বের হার আগের অবস্থায় ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।

আগের মাসের তুলনায় জুলাইয়ে দেশটিতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৪১ হাজার ১০০, যার তিন-চতুর্থাংশই পূর্ণকালীন চাকরি বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এবিএস)। অথচ এ সময়ে মাত্র ১৪ হাজার কর্মসংস্থান বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার কর্মসংস্থান আগের চেয়ে বেড়ে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা রেকর্ড।

কেন্দ্রীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কয়েক মাসের মাথায় দেশটির কর্মসংস্থান খাত ঘুরে দাঁড়ানোটা সেখানকার শ্রমবাজারে নিয়োগ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। তবে নির্বাচনের কারণে সাময়িকভাবে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শ্রমবাজার খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সিডনির বিআইএস অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান সারাহ হান্টার বলেন, গত মাসে দেশটির শ্রমবাজারের চাঙ্গা ভাবটা সেখানকার শ্রমবাজারে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।

চলতি বছরের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় ডানকেন্দ্রিক পার্টি পুনরায় সরকার গঠন করেছে। এ পার্টির সরকার গঠনের অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির শ্রমবাজার চাঙ্গা ভাবের দেখা পেয়েছে। এর ফলে সেখানকার বিরোধী পার্টির আবাসন কর নিয়ে আন্দোলনের যে পারিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে গেছে। নতুন সরকারের এ সফলতার কারণে বিরোধী দলের বেশি আয়কারীদের ওপর যে চাপ তৈরি করতে চেয়েছিল, তা-ও কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ) জুনে সুদহার কমানোর পাশাপাশি জুলাইয়েও আরেকবার সুদহার কমিয়েছে, যা কোম্পানিগুলোর আস্থা বাড়িয়েছে। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ডলার সম্প্রতি ৬৭ দশমিক ৫৮ সেন্ট মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৬৭ দশমিক ৮৪ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে কর্মসংস্থান চাঙ্গা থাকা সত্ত্বেও তা দেশটির সার্বিক সমস্যাকে আরো ঘনীভূত করছে বলে জানিয়েছেন আরবিএ প্রধান ফিলিপ লোউই। নিয়োগের শক্তিশালী ও কর্মসংস্থানের স্ফীত অবস্থা সেখানকার চাঙ্গা শ্রমবাজারে কথা বললেও বেকারত্বের তীব্রতার কারণে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রার লাগাম ঠেনে ধরার বা কমানোর প্রবণতা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় অবস্থায় রাখতে অস্ট্রেলিয়ার বেকরত্বের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশের কাছাকাছি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আরবিএ প্রধান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন