এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ : সম্মানজনক ফল চান কোচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত বছর নারী ফুটবলারদের ঈদের ছুটি ছিল ১৮ দিনের। ছুটি শেষে নানা সমস্যা নিয়ে ক্যাম্পে ফিরেছেন ফুটবলাররা। এবার ছুটি কমিয়ে মাত্র পাঁচদিন করা হয়েছে। ঈদ উদযাপনের পর গতকাল ফের নারী ফুটবলারদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়েছে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। আজ শুরু হচ্ছে অনুশীলন।

সামনে নানা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ব্যস্ততা। ব্যস্ততার শুরু এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে। ১৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের চুনবুরিতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর। আট জাতির আসরের ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড। গত আসরেও গ্রুপসঙ্গী হিসেবে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে পেয়েছিল বাংলাদেশ।

বয়সের কারণে কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তাররা এবার খেলতে পারবেন না। যারা আছেন, তাদের নিয়েই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। এ কোচের প্রত্যাশা, সাধ্যের সেরাটা দিয়ে সম্মানজনক ফল নিয়ে ফিরবে বাংলাদেশ।

‘গত আয়োজনের আগে এশিয়ান শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল সম্পর্কে আমাদের খুব বেশি ধারণা ছিল না। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ওই পর্যায়ের দলগুলো সম্পর্কে আমরা এখন জানি। আশা করছি, সামর্থ্যর সেরাটা দিয়ে মেয়েরা এবার ভালো করবে’— গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। এবারের আসর শুরুর কয়েক দিন আগেই থাইল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। সেখানে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এ সম্পর্কে ছোটন বলেন, ‘আমরা চাইলেও চ্যাম্পিয়নশিপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারছি না। বিকল্প হিসেবে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে থাইল্যান্ডে স্থানীয় দলের বিপক্ষে দু-তিনটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে।’

১৫ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু বাংলাদেশের। ১৮ সেপ্টেম্বর জাপানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা। ২১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আরেক গ্রুপে রয়েছে সর্বশেষ আসরের দুই ফাইনালিস্ট উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া; গ্রুপের বাকি দুই দল চীন ও ভিয়েতনাম।

২০১৭ সালে গত আসরের তিন ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একপর্যায়ে লিড নিয়েও ২-৩ গোলে ম্যাচ হারতে হয়েছে। এবার গত আসরের চেয়ে আরো ভালো করার আশাবাদ বাংলাদেশ কোচের, ‘সচরাচর আমরা যে পর্যায়ে খেলি, গ্রুপের তিন দলের মান তার চেয়ে অনেক ভালো। গত আসরের অভিজ্ঞতা এবার কাজে দেবে। প্রতিপক্ষ দলগুলোর খেলার ধরন জানা আছে। মেয়েরা আগের আসর থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তা কাজে লাগিয়ে এবার আমাদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে।’

মাহমুদা, আঁখি, তহুরা, নাজমা, আনাই, নীলা, মারিয়া, মনিকা, আনুচিং ও সুলতানা গত আসরের স্কোয়াডে ছিলেন। এবারো তাদের নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। সঙ্গে আছে একঝাঁক নতুন মুখ। এ সম্পর্কে গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘নতুনরা অভিজ্ঞতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে ঠিকই। কিন্তু তাদের প্রতিভা নিয়ে কারো মধ্যে সন্দেহ নেই। সুযোগ পেলে তারাও দলকে সহায়তা করতে পারে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন