১৮ বছরেরও কম বয়সী বিদেশী খেলোয়াড় সই করানোর অপরাধে দলবদলে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। তবে অল্পতেই বেঁচে গেল তারা। ক্লাবটিকে ৩ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে ফিফা।
ম্যানসিটি দলবদল আইনের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছে বলে জানায় ফিফা। অনুচ্ছেদে লেখা আছে: ‘খেলোয়াড়ের বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল আন্তর্জাতিকভাবে দলবদল করা যাবে।’ এ নিয়ম মানেনি সিটি। অবশ্য তারা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। তাতেই হয়তো শাস্তির মাত্রা কমেছে তাদের।
সিটি দলবদলের এ বিধি ভঙ্গ করেছে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের আগে। ইংলিশ ক্লাবটি বলছে, ফিফা নিয়মের ভুল ব্যাখ্যার কারণেই মূলত তারা এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। খেলোয়াড়টিকে তারা ট্রায়ালে দেখার পর প্রীতি ম্যাচ খেলিয়েছে। সিটি এও বলছে, অভিযোগ ওঠার পর থেকে তারা ফিফার তদন্তে সব সময় সহযোগিতা করে এসেছে। ক্লাবটির ভাষায়, ‘আইন ভঙ্গের কথা স্বীকার করছে ম্যানসিটি, তবে এটা ঘটছে মূলত আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে।’
সিটির মতো একই অপরাধে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে দুটি দলবদলে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ২০২০ সালের জানুয়ারির আগে নতুন খেলোয়াড় কিনতে পারবে না তারা। চেলসির অপরাধ অবশ্য অনেক বড়। তারা মোট ২৯ জন অনূর্ধ্ব-১৮ খেলোয়াড় সই করায়। এ অপরাধে লন্ডন জায়ান্টদের ৪ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড জরিমানাও গুনতে হয়েছে। শাস্তি কমাতে ফিফার কাছে চেলসি আপিল করলেও তা টেকেনি। এখন ব্লুজরা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে।
ঘানার ‘রাইট টু ড্রিম’ ফুটবল একাডেমি থেকে উঠে আসা সিয়েরা লিওনের জর্জ ডেভিস ও ঘানার ডমিনিক ওদুরো গত বছর ড্যানিশ পত্রিকা জিলিল্যান্ডস-পোস্টেনকে জানান, তারা দুজন ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই সিটির হয়ে যুব ম্যাচ খেলেছেন।
ফিফা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সী খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক দলবদল ও নিবন্ধনের কারণে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি। ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তারা ফিফার ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছে। ম্যানসিটি অপরাধ স্বীকার করায় শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং তাদের ৩ লাখ ৭০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (৩ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড) জরিমানা করছে।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদল আইন ভঙ্গ করায় ২০১৭ সালে একাডেমি থেকে খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে ম্যানসিটিকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এবারো নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা ছিল। তবে জরিমানা দিয়েই পার পাচ্ছে শেখ মনসুর আল নাহিয়ানের ক্লাবটি। যদিও ঝামেলা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। এখন তাদের আর্থিক খতিয়ান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে উয়েফা। দেখবে, নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে বেশি খরচ করে ফেলেছে কিনা ক্লাবটি। বিবিসি ও ইএসপিএন