যশোরে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি যশোর

যশোরে একদিনে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ও বুধবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার সালতা গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় মনিরুল ইসলাম ওরফে মিনারুল নামে এক কৃষক নিহত হন।  তিনি ওই গ্রামের মৃত সদর মোল্লার ছেলে।

নিহতের ভাই আক্তারুজ্জামান জানান, মিনারুল গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে গরুর জন্য বিচালি কাটছিলেন। কিছু সময় পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এক পর্যায়ে মিনারুলকে বাড়ির পাশে খালের পাড়ে একটি বাগানের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এম আব্দুর রশিদ মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি আরো জানান, কৃষক মিনারুল এলাকায় নিরীহ মানুষ হিসেবেই পরিচিত। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে। অন্যথায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

এদিকে যশোরে মকদম আলী (৫১) নামে এক আনসার সদস্য নিজ অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল ভোরে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মকদম আলী টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার বিল আমুলি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। তিনি বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী শেখ বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে আনসার সদস্য মকদম আলী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল ভোরে ফজরের নামাজের পর পুলিশ ক্যাম্পে নিজের কক্ষে চায়না রাইফেল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন। গুলি মাথা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্ত্র হাতে পড়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এদিকে যশোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কাটা পড়ে রিজিয়া বেগম (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে যশোর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। রিজিয়া বেগম  টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সাতিহাটি গ্রামের হাজি তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের জামাতা রস্তম আলী জানান, গতকাল ভোরে যশোর স্টেশনে নামতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে যান রিজিয়া বেগম। এ সময় ট্রেন চলতে শুরু করলে কাটা পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমিয় দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন