মৈনাক পাহাড় থেকে বাঁকখালীর সৌন্দর্য

মোস্তফা ইমরুল কায়েস

রাত থেকে তীর্থের কাক হয়ে বসে ছিলাম। কখন যাব মহেশখালী দ্বীপে। নিজের চোখে দেখব বলে কিছুটা অস্থিরতা তাড়া করছিল। সকালে দ্রুত নাশতা সেরে নিলাম। পর্যটন মোটেল লাবণী থেকে অটোরিকশা ভাড়ায় দুই ডজনের একটি টিম রওনা হলাম কক্সবাজারের কস্তুরী ঘাটের দিকে। অনেকে এটাকে আবার উত্তর নুনিয়াছড়া সরকারি জেটি ঘাটও বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ঘাটে পৌঁছে গেলাম। ঘাটের টোল, টিকিটসহ যাবতীয় কাজ সারা হলো। কিন্তু বেলা তখন ঠিক মাথার উপরে হেলে পড়ছে। অনেকেরই মনে নেই সেটা। কেউ একজন বলে উঠলেন, লঞ্চে গেলে ফিরতে রাত হবে। সঙ্গে আছেন কয়েকজন নারী ও শিশু। তার কথায় সায় দিলেন সঙ্গে থাকা অনেকে। ভাড়া করা হলো দুটি স্পিডবোট।  অল্প সময়ের বিরতি দিয়ে স্পিডবোট দুটো ছুটে চলল আমাদের নিয়ে মহেশখালীর দিকে। পথ মাত্র কুড়ি মিনিটের। কিন্তু মনে সবার নানা শঙ্কা তাড়া করছে। স্পিডবোটের পাশ দিয়ে কোনো ট্রলার ছুটে গেলেই ঢেউ এসে লাগছে তাতে। তখন নদীর ঢেউ যেন বুকের পাঁজরে আঘাত হানছে।

বাঁকখালী নদী আর সাগরের মোহনার দুই পাশের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম মহেশখালীর গোরকঘাটা ঘাটে। দুই পাশে ঝাউবন। তার বুক চিরে ঢুকেছে একটি চ্যানেল। অনেকে ছোট নদী ভেবে ভুল করতে পারেন। চ্যানেলের বুকে ভর করে ঢুকে পড়ল আমাদের স্পিডবোটটি। ঘাটে থামতেই একে একে নেমে পড়ল সবাই। তবে ঘাটে তখন ভাটা নেমে যাওয়ায় কাদার দৌরাত্ম্য ছিল চরম। তার পরও সেই বিপদকে উপেক্ষা করে জেটিতে (যেটি সেতুর মতো দেখতে) ওঠা হলো। মাত্র পাঁচ থেকে সাত ফুট প্রস্থের জেটি। তার ওপর সারি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে অনেক অটোরিকশা। সবার অপেক্ষা যাত্রীর জন্য। কিছুটা সময় পেলাম জেটির দুই পাশ দেখার। চোখে পড়ল ঘাটের তীরে ভেড়ানো অনেক ডিঙি, পানসি, ময়ূরপঙ্খি নৌকা। নানা রূপে সেগুলো সাজানো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন