জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে মহান এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই মহান নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগেলে করুণ সুর বেজে ওঠে। ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে এ সময় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হওয়ার পর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা-নেত্রী, পেশাজীবী ও সর্বসাধারণ। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান বনানীর কবরস্থানে। সোয়া সাতটার দিকে পরিবারের সদস্যদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পৃথক শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সে সময়কার বাসভবন ঘুরে দেখেন। তারা সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ অগাস্ট সরকারি ছুটির দিন। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করছে।
