খুলনা জিআরপি থানায় ধর্ষণ : প্রতিবেদন দাখিলে আরো ১৫ দিন সময় চেয়েছে কমিটি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি খুলনা

খুলনা জিআরপি থানায় ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো ১৫ দিন সময় চেয়েছে রেলওয়ে পাকশী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটি। গতকাল সময় চেয়ে রেলওয়ে পাকশী জেলার এসপি বরাবর আবেদন করেন কমিটির প্রধান ফিরোজ আহমেদ। এছাড়া নির্যাতিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও আবেদন করেন তিনি। ওই কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত তারিখ ২০ আগস্ট। কিন্তু ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে ওই তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিরোজ আহমেদ জানান, নির্যাতিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু একজন আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে খুলনার আদালতের কার্যক্রম গতকাল ডেথ রেফারেন্স দিয়ে স্থগিত রাখা হয়। তাই আবেদনের শুনানি হয়নি। তিনি আরো জানান, ঈদের কারণে সবাই ছুটিতে থাকায় তদন্তকাজে কিছুটা ধীরগতি হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন তৈরির আরো ১৫ দিন সময় চেয়ে রেলওয়ে পাকশী জেলা এসপি বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করেন। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানা হাজতে ওসি উছমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠায় পুলিশ। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে জিআরপি থানায় ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন নির্যাতনে শিকার ওই নারী। এরপর আদালতের নির্দেশে পরদিন তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ। সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ. ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়। ৭ আগস্ট ওসি উছমান গনি পাঠান ও এসআই নাজমুলকে ক্লোজ করে পাকশী নেয়া হয়। ৮ আগস্ট পাকশী ও ঢাকা থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলগেটে নির্যাতিতের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ৯ আগস্ট পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন