সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক শাহেদা আখতার তার ছেলে মো. সাজ্জাদ-উন নেওয়াজের কাছ থেকে ৯ লাখ ৩২ হাজার শেয়ার উপহার পেয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর যা ছিল ১ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৭৩ পয়সা, ২০১৭ হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২২ টাকা ৮১ পয়সা।
এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, গেল হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৩ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৬ পয়সা।
সর্বশেষ সিপিএ রেটিংয়ে এ কোম্পানির অবস্থান ‘এ প্লাস’। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৫ টাকা ৫০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৭ টাকা ও ৩১ টাকা।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৯ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৭০ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪২ শতাংশ, সরকারের কাছে ১০ দশমিক ৯, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৭ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।