খুলনা জিআরপি থানায় ধর্ষণ : ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি খুলনা

খুলনা জিআরপি থানা হাজতে নারী নির্যাতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার ছয়দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার জিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে করা মামলায় জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে এবং জেল গেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নিজেই এ মামলার বাদী। আসামি করা হয়েছে জিআরপি থানার সাবেক ওসি ওসমান গনি পাঠান, এসআই নাজমুল হক ও অজ্ঞাত তিন পুলিশ সদস্যকে। হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩-এর ১৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেল স্টেশনে কর্তব্যরত রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা এক গৃহবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে রাতে জিআরপি থানায় আনা হয়। ওইদিন গভীর রাতে থানা হাজতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। ৪ আগষ্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে জিআরপি থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের নির্দেশে সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার কমিটি তদন্ত শুরু এবং ৮ আগস্ট জেল গেটে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন