দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

বণিক বার্তা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট

গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ও শুক্রবার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

গোপালগঞ্জ: সদর উপজেলার সোনাকুড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নুরি মুন্সির ছেলে মাহিন্দ্রচালক শহিদুল মুন্সি (৩৫) ও একই গ্রামের বিলু মুন্সির ছেলে বাবু মুন্সি (৩০)।

স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কের ওপর দুর্ঘটনাকবলিত একটি মাহিন্দ্র দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তত্পরতা চালান। তবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, কেউ তা বলতে পারেনি। তাদের ধারণা, শহিদুল নিজের মাহিন্দ্র নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় নিজ বাড়িতে ফেরার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন।

গোপালগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শহিদুল মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া বাবু মুন্সিকে গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাগেরহাট: জেলার ফকিরহাটে পিকআপের ধাক্কায় তানিয়া আক্তার (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে বাগেরহাট-রূপসা পুরাতন সড়কের ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তানিয়া ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হিরণের মেয়ে। সে উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামে মামা মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ বলেন, যাত্রাপুর থেকে ফকিরহাটগামী একটি ট্রাক সিংগাতি এলাকায় শিশু তানিয়াকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পিকআপটি জব্দ করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন