কালভার্ট নির্মাণে গাফিলতি: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে যানজট

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জের বলিদাপাড়ায় একটি কালভার্ট নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। গত জুনে ওই কালভার্ট ও সংলগ্ন সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। একই সঙ্গে যানবাহন চলাচলে বিকল্প পথও নির্মাণ করা হয়েছে যেনতেনভাবে। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটিতে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। বিশেষ করে ঈদের মৌসুমে এ সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস আগে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বলিদাপাড়া এলাকার ওই ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি নতুন করে নির্মাণের কাজ পান যশোরের ঠিকাদার মাইনুদ্দিন বাঁশি। নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৩১ লাখ টাকা। সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এরই মধ্যে মূল কালভার্টের নির্মাণ শেষ হয়েছে। ২৬ আগস্ট যানবাহন চলাচলের জন্য এটি খুলে দিলে আর সমস্যা থাকবে না।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, কালভার্ট নির্মাণ শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। মাটি দিয়ে যে বিকল্প পথ তৈরি করা হয়েছে, তার ওপর দিয়ে যানবাহন চলতে পারছে না। বৃষ্টি হলে পথটি কাদায় একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় কালভার্টের একপাশ দিয়ে কোনোমতে গাড়ি চলাচল করছে। আর এতেই দেখা দিচ্ছে বিপত্তি। প্রায়ই এখানে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মতো যানবাহন বিকল হচ্ছে। গত বুধবার রাত ২টার দিকে একটি ট্রাক কালভার্টের পাশে গর্তে কাদায় আটকে বিকল হয়ে যায়। ফলে ব্যস্ত এ মহাসড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে।

তাছাড়া বেহাল বিকল্প পথ দিয়ে যানবাহন চলাচলে বেশ সময় লাগছে। ফলে কালভার্টের দুই পাশে প্রায়ই দীর্ঘ যানজট দেখা দিচ্ছে। যানজটে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের।

সওজ বিভাগের কালীগঞ্জ অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী এসও আব্দার রহমান বলেন, কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ। মূলত যানবাহন চলাচলের জন্য যে বিকল্প পথ তৈরি করা হয়েছে সেটি বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ অবস্থায় কালভার্টের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় একটু যানজট হচ্ছে। ২৬ আগস্ট কালভার্টটি পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে। তখন আর সমস্যা হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন