৯ টাকার পানি ১৬ টাকা করার প্রস্তাব চট্টগ্রাম ওয়াসার

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

আবাসিক সংযোগে প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সার স্থলে ১৬ টাকা ও বাণিজ্যিকে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। গতকাল ওয়াসার বোর্ডসভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পানির প্রকৃত উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের সামঞ্জস্য রেখে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি এখন মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখানে অনুমোদন হলে নতুন দাম কার্যকর হবে।

সভায় আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির দাম ১৬ টাকা ও বাণিজ্যিক সংযোগে পানির দাম ৪৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। তবে বাণিজ্যিকে ৫ টাকা কমিয়ে সেটি ৪০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়।

চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে প্রতি হাজার লিটার পানি উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ১৬ টাকা। বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে কম দামে। সরকার এ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম পানির দাম বাড়ানো যায় কিনা খতিয়ে দেখতে বলেন। এজন্য উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী দাম রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, আগে ভূগর্ভস্থ পানি বেশি উত্তোলন করত ওয়াসা। এখন ভূ-উপরিস্থ পানির দিকে ঝুঁকছে। ভূ-উপরিস্থ পানি আলাদাভাবে শোধন করা হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। অথচ পানির দাম আগের মতো।

গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়াসা বোর্ডে গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

ওয়াসা আইন, ১৯৯৬-এর ২২ ধারা অনুযায়ী, প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে ওয়াসা বোর্ড। সে অনুযায়ী, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল ওয়াসা। অথচ ছয় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার পানির দাম বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তাও প্রায় ৬২ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, গ্রাহকের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সংস্থাটি সেবার মান না বাড়িয়ে কিছুদিন পরপর পানির দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সিস্টেমলস, লিকেজের কারণে অনেক টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওয়াসা। সেদিকে নজর না দিয়ে গ্রাহকের ঘাড়ে বোঝা তুলে দিচ্ছে সংস্থাটি।

সভায় বোর্ড সদস্য ও ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন