ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েলের উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক   

চলতি মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ১৫ লাখ টন বৃদ্ধি পেতে পারে। ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৪ কোটি ৪৩ লাখ টনে। উৎপাদন সক্ষম বাগানের সংখ্যা বাড়ায় পণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। খবর কমোডিটি অনলাইন।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরকারি অন্যান্য সংস্থার তথ্যের গরমিলের পরিপ্রেক্ষিতে স্যাটেলাইট থেকে তথ্য নেয়া হয়। এতে দেখা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যের চেয়ে আবাদি এলাকার পরিমাণ বেশি। চলতি মাসে চাষাবাদ এলাকার বিষয়ে নতুন করে তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে পামের আবাদ এবং উৎপাদনের পরিমাণে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এলাকা বাড়লেও গড় উৎপাদন তুলনামূলক কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম কম হওয়ার কারণেও উৎপাদন কমে যেতে পারে। কারণ এর ফলে ক্ষুদ্র চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ইউএসডিএ বলছে, দেশটির ক্ষুদ্র চাষীদের পাম থেকে তেল উৎপাদনের কারখানাগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই। বিশেষ করে স্বনির্ভর চাষীদের এই সংখ্যা বেশি। একদিকে পাম ফল বিক্রি করে কম অর্থ পাচ্ছে এসব কৃষক, অন্যদিকে কারখানাগুলোর সঙ্গেও তাদের চুক্তি থাকে না। এর ফলে পাম আবাদে সার ও কীটনাশকের মতো উপাদানগুলোর সরবরাহ কম হওয়ার কারণেও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। 

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন