রাজধানীতে ছুটির দিনসহ রাতেও খোলা থাকবে ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটিতে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পশুর হাটসংলগ্ন ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে এসব শাখায় সন্ধ্যাকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঈদুল আজহার আগে সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটির তিনদিন (শুক্র, শনি ও রোববার) কোরবানির হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে। এসব শাখায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সান্ধ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটগুলোয় অসংখ্য ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন হয়। ফলে হাটগুলোয় আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘোষিত ছুটির দিনগুলোয় ব্যাংকের সব ব্যবসা কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

এ অবস্থায় ঈদুল আজহার আগের সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটির তিনদিন (৯, ১০ ও ১১ আগস্ট) কোরবানির হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা খোলা রেখে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সান্ধ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ প্রদান করা হলো। এক্ষেত্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যুক্তিসঙ্গত ভাতা প্রদান করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকের সব ব্যবসা কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ঈদের আগে ও পরে ছুটির দিনে রাতের বেলায় আকস্মিক ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক শাখা পরিদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি এ সময় ব্যাংকের শাখা ও ভল্টের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে এ বছর ২ হাজার ৩৬২টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে বসেছে ২৪টি। এসব হাটে গতকাল থেকে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। হাটে পশু বেচাকেনা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের পশুর হাটগুলো হলো উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের হাট, খিলক্ষেত বনরূপা হাট, খিলক্ষেত তিনশ ফুট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশে, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুর হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইনসের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তর পাশের সেতু প্রপার্টি ও উত্তর খান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিংয়ের খালি জায়গা।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটগুলো হলো আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ঝিগাতলা-হাজারীবাগ মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগ রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ হাট, কামরাঙ্গীর চর ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাট, শ্যামপুর বালুর মাঠসহ আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের এলাকার খালি জায়গা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামসাবাদ মাঠ সংলগ্ন আশপাশ এলাকার খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, শনির আখড়া ও দনিয়া মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড খেলার মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউয়ারটেক মাঠ সংলগ্ন আশপাশের এলাকার খালি জায়গা ও আফতাবনগর ইস্টার্ন হাউজিং মেরাদিয়া বাজার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন