কর্মসূচি নয়, মশক নিধনের ওষুধ চায় মানুষ: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেই ওষুধে সত্যিকার অর্থে মশক নিধন হবে, মানুষ চায় সেই ওষুধটা। আমরা লোক দেখানো কর্মসূচি দিয়ে, জনগণকে ভাওতা দিতে চাই না, প্রতারণা করতে চাই না।

গতকাল সকালে রাজধানীর মাজার রোডে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মশার কার্যকর ওষুধ আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি, দুই-চার দিনের মধ্যে মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ আমরা পাব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কারো ঘরে বা আশপাশে যদি পানি জমা থাকে, যেখানে যদি এডিস মশা তৈরি হয়, তাহলে তাদেরকে ফাইন (জরিমানা) করা হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যতদিন আমরা এই ডেঙ্গু জ্বর আর এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

নগরবাসীকে নিজ নিজ ঘর, আঙিনা, কর্মস্থল, আশপাশের এলাকা, স্কুল ও কলেজ এবং বিপণিবিতান পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার নির্দেশ। তিনি বলেন, আমাদের এ প্রোগ্রাম হচ্ছে, অ্যাকশন প্রেগ্রাম। এ অ্যাকশন শেখ হাসিনার অ্যাকশন, ডেঙ্গুবিরোধী অ্যাকশন, এডিস মশাবিরোধী অ্যাকশন। এটা সচেতনতামূলক একটা প্রোগ্রাম।

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবাইকে মশারি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, মশারি টাঙানোর বিকল্প নেই। আপনি যখন ঘুমোতে যাবেন, সেটা রাতের বেলায় হোক আর দিনের বেলায় হোক, মশারি ব্যবহার করবেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ ‘সফল হবে’, এমন আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ আজ এ প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি চায়। মানুষ আজ এডিস মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে চায়। মানুষের চেয়ে মশা শক্তিশালী নয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সমন্বিত উদ্যোগে এ প্রাণঘাতী মশক নিধনে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইনশাল্লাহ আমরা সফল হব।

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নেয়া নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এটা (কাশ্মীর ইস্যু) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলেও এ নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন