ডিক্যাপ্রিওই কি শেষ পর্যন্ত হলিউডে রাজত্ব করবেন!

ফিচার ডেস্ক

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও কি হলিউডের শেষ সার্থক তারকা? হলিউড ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে এমনই এক প্রশ্ন। এর পেছনে অবশ্য কম যুক্তিও দাঁড় করানো হয়নি। আলোচনা ও সমালোচনায় উঠে এসেছে, ডিক্যাপ্রিও হচ্ছেন এমনই একজন অভিনেতা, যিনি নিজের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে চান না, তবে সিনেমায় আপন গুণাবলি ফুটিয়ে তোলার অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে তার! সবচেয়ে বড় কথা তার খুব কম ছবিই এ পর্যন্ত ফ্লপ হয়েছে।

ম্যাগাজিনটির এ প্রতিবেদনে যুক্তি দেখানো হয়, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে একমাত্র তিনিই বিশ্বব্যাপী সুপারস্টার হিসেবে পরিচিত হতে পেরেছেন। যেখানে অন্যরা বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ উপার্জন করে নিজেদের স্পটলাইটে দাঁড় করিয়ে গেছেন মাত্র। যদি ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে কাউকে তুলনা করতেই হয়, তাহলে উঠে আসবে উইল স্মিথ, জেনিফার লরেন্স ও রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের নাম।

এবার প্রশ্ন হতে পারে, প্রভাবশালী চলচ্চিত্র তারকা হিসেবে এ মুহূর্তে ডিক্যাপ্রিওর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে কিনা সে বিষয়ে। হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে একজনের নাম উচ্চারণ করা যেতে পারে, তিনি হলেন ব্র্যাড পিট। ২০১৫ সালে ‘দ্য রেভেন্যান্ট’ ছবির পর চলতি বছর ডিক্যাপ্রিও কোয়ান্টিন টারান্টিনোর ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ চলচ্চিত্র করেছেন। এ চলচ্চিত্রে ডিক্যাপ্রিওর সহতারকা ছিলেন পিট।

‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ চলচ্চিত্রে এমনই একটি ধারণা দেয়া হয়েছে যে, হলিউডে টিকে থাকতে হলে ও তারকা হিসেবে নিজের পোক্তস্থান খুঁজে পেতে হলে অভ্যন্তরীণ ইন্ডাস্ট্রিতেই লড়াই করতে হবে। টারান্টিনোর এ চলচ্চিত্রে ষাটের দশকের এমনই এক সময়কে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে চলচ্চিত্র তারকারা অস্তিত্বহীনতার হুমকির মুখে পড়েছিলেন। এখানে ডিক্যাপ্রিও ও পিট তাদের বাস্তব আত্মার বিপরীতে অভিনয় করেছেন। তাদের একজনকে দেখা যাবে সাবেক ও সংগ্রামী কাউবয় অভিনেতা ও অন্যজনকে স্টান্ট হিসেবে।

তবে সমালোচকরা এ দুজন তারকাকে এক ছাতার নিচে রাখতে চান না। কারণ এর মধ্যেই ব্র্যাড পিটের অ্যালাইড ও ওয়ার মেশিনের মতো কয়েকটি ছবি ফ্লপ করেছে। পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কয়েক বছরে হলিউডপাড়ায় গুঞ্জন চলেছে টানা। অন্যদিকে নব্বইয়ের দশকেই ডিক্যাপ্রিও টিনএজ হার্টথ্রব হিসেবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন গোটা দুনিয়ার কাছে। এরপর সফলভাবে হলিউডের গুরুত্বপূর্ণ একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে রূপান্তর করেছেন।

তবে এ দুই তারকাই স্কোরসেস, টেরেন্স মালিক, ডেভিড ফিঞ্চার, স্পিলবার্গ ও টারান্টিনোর সঙ্গে সেরা কাজগুলো করেছেন। কারোরই অজানা নয়, হলিউড আগে যা ছিল, এখন আর তা নেই। এ সময়ে সিনেমার ক্ষেত্রে চরিত্র ও ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম অভিনেতাদের নাম ও কাজের চেয়ে অনেক বড় করে তুলে ধরা হয়। সেদিক থেকে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও যেন এক অপার সম্ভাবনার নাম!

 

সূত্র: গার্ডিয়ান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন