হবিগঞ্জে শেষ মুহূর্তে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ

ঈদুল আজহার আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। এরই মধ্যে হবিগঞ্জের অধিকাংশ পশুর হাট জমে উঠেছে। এসব হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আনাগোনা প্রতিদিনই বাড়ছে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় শেষ মুহূর্তে গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হবিগঞ্জের খামারিরা। তীব্র গরমের কারণে গরু যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তাই বাড়তি যত্ন নিতে হচ্ছে তাদের।

হবিগঞ্জের খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ছাড়াই গরু মোটাতাজা করেছেন তারা। গবাদি পশুদের খাওয়ানো হচ্ছে হাওড়ের ঘাস, খৈল, ভুসি, কচুরিপানাসহ স্বাভাবিক সব খাবার। তাই ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশী গরু কেনার জন্য ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে গরু মোটাতাজার ক্ষেত্রে খামারিরা যাতে ক্ষতিকারক ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করতে না পারেন, সেজন্য জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের ২৫০টি খামারে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব খামারে নিয়োজিত শ্রমিকরা গরুর যত্ন নিয়ে তত্পর রয়েছেন।

খামারিদের দাবি, খামারে গরু মোটাতাজার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট, ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার এতবারপুর গ্রামের হ্যাপি খামারে চলছে গরু মোটাতাজার কাজ।

খামারের মালিক সোহেল মিয়া জানান, তার খামারে প্রায় ৩০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। গরু মোটাতাজার জন্য তিনি হাওড়ের ঘাস, খৈল, ভুসি, কচুরিপানা খাওয়াচ্ছেন। স্বাভাবিক খাবার দিয়ে যেসব গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে, বাজারে সেগুলোর চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়া যায়। এরই মধ্যে অনেক ক্রেতা খামার থেকে গরু কিনে নিয়ে গেছেন। আসা করছি, আগামী দু-একদিনের মধ্যে খামারের বাকি গরুও বিক্রি করতে পারব।

রুছমত মিয়া নামে ওই খামারের এক কর্মচারী জানান, খামারের গরুর জন্য তারা নিজেরাই ঘাস উত্পাদন করেন। ঘাস, খৈল ও চালের গুঁড়া খাওয়ানো হয় গরুদের। তাছাড়া অধিক গরমে যাতে গরু অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তাই দিনে চার-পাঁচবার গায়ে পানি ঢালা হয়।

হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, গরু মোটাতাজার ক্ষেত্রে খামারিরা যাতে কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করতে না পারেন, সেজন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। তাছাড়া স্বাভাবিক খাবার দিয়ে কীভাবে দ্রুত গরু মোটাতাজা করা যায়, সে বিষয়ে আমরা খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন