ভারত : ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার আয়কর বিভাগের

বণিক বার্তা ডেস্ক

আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছেন—ভারতের ব্যবসায়ী মহল থেকে ওঠা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে আয়কর বিভাগ। ব্যবসায়ী নেতা কিরণ মজুমদার শ ও মোহনদাস পাইয়ের অভিযোগের জবাবে এ উত্তর দেয় তারা। ক্যাফে কফি ডের (সিসিডি) প্রতিষ্ঠাতা ভিজি সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে হয়রানির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। খবর লাইভমিন্ট।

ইনফোসিসের সাবেক পরিচালক মোহনদাস পাই ১ আগস্ট ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্টকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে অভিযোগ করেন, কর কর্মকর্তারা তাদের বার্ষিক কর সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। কোম্পানিগুলো তাদের দাবির সঙ্গে একমত না হলে মামলায় পড়তে হয়। বায়োফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠান বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারপারসন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজুমদার শ রোববার দ্য টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে জানান, সম্প্রতি এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে ফোন দিয়ে বলেন, যেন তিনি ‘আয়কর হয়রানির মতো’ কোনো ইস্যু নিয়ে কথা না বলেন।

দুই শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধির পক্ষ থেকে আসা অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই। কোনো একটা ইস্যু কীভাবে তদারক করা হয়, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মন্তব্যে অপারগতা প্রকাশ করেন। বকেয়া কর আদায়সহ কীভাবে সর্বোচ্চ কর সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের জন্য প্রতি বছর একটি কৌশল গ্রহণ করে কর বিভাগ। কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ মাঠ কর্মকর্তারা ওই অঞ্চলের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চালায় এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কর প্রদানে চাপ প্রয়োগ করে।

আইনের বিভিন্ন ফাঁক গলে যখন অনেক কোম্পানি কর ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে, তখন প্রায়ই চমকপ্রদ উপায় গ্রহণে বাধ্য হন কর বিভাগের সরকারি কর্মকর্তারা। এতে কর বিভাগ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রথম যে পদক্ষেপ নেয়, তা হলো দুর্নীতি ও বেআইনি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে সরকারের ২৫ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে জোর করে অবসরে পাঠানো। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ও ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার মামলা ঝুলছিল।

দ্য কুইন্টকে দেয়া সাক্ষাত্কারে কর কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা অর্পণকে প্রশ্ন করেন পাই। এছাড়া ব্যবসায়ী সিদ্ধার্থের মৃত্যুর ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি। একটি চিঠিতে সিসিডির প্রতিষ্ঠাতা সিদ্ধার্থ উল্লেখ করেন, কীভাবে তিনি এক বেসরকারি শেয়ার বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে চাপের মধ্যে ছিলেন এবং কীভাবে কর বিভাগ থেকে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন