মসজিদে তৈরি হচ্ছে ডায়াবেটিস কর্নার

বিনা মূল্যে পরীক্ষার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাঠপর্যায় থেকে সাধারণ মানুষকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি মসজিদে মসজিদে ডায়াবেটিস কর্নার স্থাপন ও কমিউনিটি লিডার হিসেবে ইমামদের মাধ্যমে রোগটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবে। এসব কর্নারে বিনা মূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যাবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বাডাস।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪২ কোটি ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। ২০৪০ সাল নাগাদ দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে রোগটির বিস্তার কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে কমিউনিটি লিডারদের কাজে লাগাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের অর্থায়নে ‘ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাডাস। এ প্রকল্পের আওতায় শুরুতে ঢাকা ও ময়মনসিংহের ১০০ মসজিদে ডায়াবেটিস কর্নার চালু করা হবে। ইমামদের মাধ্যমে এখানে রোগীরা বিনা মূল্যে পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক সেবা পাবেন। তারা সমিতির মোবাইল হেল্পলাইন (ইব্রাহিম হেলথলাইন- ১০৬১৪) ব্যবহার করে যেকোনো সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন।

আশা করা হচ্ছে, এ প্রকল্পের আওতায় আড়াই লাখ মানুষ বিনা মূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রকল্পটি দেশের প্রতিটি উপজেলার অন্তত একটি মসজিদে ও অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোয় ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তখন এসব কর্নারে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে ৪০ টাকা করে নেয়া হবে। এসব কর্নারে সেবাগ্রহীতাদের রোগসংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত হবে।

বাডাস সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, সচেতন হলে ৭০ ভাগ পর্যন্ত টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের দেশে মানুষ ইমামদের কথা মান্য করেন। এ কারণে ইমামদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হুসেইন বলেন, অসংক্রামক রোগগুলো নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। মানুষের দোরগোড়ায় এসব রোগ সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দিতে পারলে মানুষ সহজেই সচেতন হতে পারবে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন