বিও হিসাবে স্টক লভ্যাংশ পাঠিয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে স্টক লভ্যাংশ পাঠিয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছিল, যা ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদন হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকটির সম্মিলিতভাবে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা এবং সম্মিলিতিভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। এর আগের বছর সম্মিলিত ইপিএস ছিল ৯২ পয়সা এবং এনএভিপিএস ছিল ১৬ টাকা ৯৬ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৬৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে সম্মিলিতভাবে ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা।

ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ টু’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।

ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপনী দর নির্ধারণ হয় ২৪ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২২ টাকা ৭০ পয়সা ও ৩২ টাকা ৯০ পয়সা।

২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৩। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ২০, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৩৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৫ দশমিক ৫৭, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৯ দশমিক ৯২।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন