পরিসংখ্যানে প্রিমিয়ার লিগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে মোট গোলসংখ্যা ৪২৯, যার ১৫৮ গোল করেছেন স্থানীয় ফুটবলাররা। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন নাইজেরিয়ান রাফায়েল উদোভিন। সেরা দশে বাংলাদেশী খেলোয়াড় মাত্র দুজন—নাবিব নেওয়াজ জীবন (১৭) ও মতিন মিয়া (১১)।

৬ বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী এবার বসুন্ধরা কিংসের কাছে শিরোপা খোয়ায়। দলগত ও ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে আবাহনী ও ক্লাবটির ফুটবলাররা উপরের দিকেই ছিল। কিংসের প্রথম শিরোপা জয়ের মৌসুমে রানার্সআপ হয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। মৌসুমজুড়ে গোলদাতা তালিকায় আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা শীর্ষে ছিলেন। শেষদিকে তাকে টপকে গেছেন শেখ রাসেলে খেলা তার স্বদেশী রাফায়েল। গোলদাতা তালিকার তৃতীয় স্থানে আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ।

লিগে সবচেয়ে বেশি ৩৯ হলুদ কার্ড দেখেছে রেলিগেটেড হওয়া দুই ক্লাব—টিম বিজেএমসি ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনীর ফুটবলাররা ৩৪ হলুদ কার্ড দেখেন। সবচেয়ে কম ২২ হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফুটবলাররা। এবারের লিগে মোট ৪৫৮ হলুদ কার্ড প্রদর্শিত হয়েছে।

লাল কার্ড দেখানো হয়েছে ১৩টি। সবচেয়ে বেশি চারটি লাল কার্ড দেখেছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলাররা। লাল কার্ড দেখা দলের তালিকায় আছে আবাহনীর নামও। একটি লাল কার্ড দেখেছেন দলটির আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। দুটি লাল কার্ড দেখেছেন টিম বিজেএমসির ফুটবলাররা। লিগে ১৩ দলের মধ্যে লাল কার্ড দেখেননি শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী, মোহামেডান ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলাররা।

ম্যাচে চার বা অধিক কার্ড দেখার কারণে সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুনতে হয়েছে টিম বিজেএমসিকে। সাত ম্যাচে চার বা অধিক কার্ড দেখেছেন দলটির ফুটবলাররা। এজন্য ম্যাচপ্রতি ১০ হাজার করে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে শীর্ষ লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া দলটিকে। কার্ডজনিত জরিমানার দিক থেকে দ্বিতীয় সাইফ এসসি, চার ম্যাচে চার বা অধিক কার্ড দেখেছেন দলটির ফুটবলাররা। লিগে কার্ড-সংক্রান্ত মোট জরিমানার অংক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন