টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত ৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি কক্সবাজার

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার নুরুল্লাহঘোনা ও টেকনাফ সদরের দরগাহপাড়া এলাকায় পৃথক গোলাগুলির এসব ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে তিনজন ডাকাত এবং একজন মাদক ব্যবসায়ী। তারা হলেন রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত সর্দার আবদুল হাকিমের সহযোগী কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ জুনায়েদ, টেকনাফের মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও মাদারীপুরের কালকিনির ইমরান মোল্লা।

ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, টেকনাফের নুরুল্লাহঘোনা নামক পাহাড়ে একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম, বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি মো. জুনায়েদ, মো. আইয়ুব, মোস্তাকসহ ১০-১৫ জন ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রেজোয়ানসহ চারজন আহত হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের দরগারপাড়া এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের টহল দল সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে সড়কের পাশে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়ানো থাকতে দেখে ওই স্থানে পৌঁছায়। এ সময় এক ব্যক্তিকে গুলি করে পালানোর সময় সাইফুদ্দিন শাহিন ও মো. সিদ্দিক নামের দুজনকে দুটি এলজি, পাঁচটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইমরান মোল্লা নামে একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শঙ্কর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, রাতে পৃথক দুটি ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ আটজনকে হাসপাতালে আনা হলে তাদের মধ্যে চারজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। গুরুতর জখম না হওয়ায় সকালে আহত চার পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ এবং মাদক বিক্রিতে বিস্তারসহ বিভিন্ন ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় দুজন নারীসহ ১৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৭ জন রোহিঙ্গা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন