চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত কেনিয়ার সর্বশেষ নিলামে চায়ের দাম গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে পানীয় পণ্যটির চাহিদায় শ্লথগতি ও অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে দামে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। ইস্ট আফ্রিকান টি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (ইএটিটিএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
ইএটিটিএর তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ার বন্দরনগরী মোম্বাসায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাপ্তাহিক নিলামে চায়ের মূল্য কমে প্রতি কেজি গড়ে ১ ডলার ৮০ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালে দেশটির চায়ের সাপ্তাহিক গড় মূল্য ২ ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। সে হিসাবে কেনিয়ায় পানীয় পণ্যটির সাপ্তাহিক গড় মূল্য পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। গত বছরে দেশটির চায়ের সাপ্তাহিক নিলামের গড় মূল্য ছিল ২ ডলার ৫৮ সেন্ট।
ইএটিটিএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডওয়ার্ড মুদিবো বলেন, গত বছর থেকে বৈশ্বিক চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত চায়ের উৎপাদন হচ্ছে। এ সময় বিশ্বজুড়ে ৫৮৫ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যেখানে বৈশ্বিক চাহিদা ছিল ৫৬১ কেজি চায়ের। অর্থাৎ বছর শেষে ২৪ কোটি কেজি চা উদ্বৃত্ত থেকে গেছে। পানীয় পণ্যটির উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে চলতি বছরেও। আর এ সময় কেনিয়াতেও চায়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির রফতানি কমে গেছে। চলতি সপ্তাহে কেনিয়ায় চা রফতানি বাবদ আয় গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে বলে জানান তিনি। মূলত দেশটির চায়ের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক পাকিস্তান, মিসর ও যুক্তরাজ্য আমদানি কমিয়ে আনায় দেশটির অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।