২৫ মণের বাহাদুর

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ায় শখের বসে গরু কিনে পালন শুরু করেন আবদুল মমিন। তিনি গরুটির নাম রাখেন বাহাদুর। এবার বিক্রির উদ্দেশ্যে বাহাদুরের দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। ক্রেতারা এখন পর্যন্ত বাহাদুরের দাম বলেছেন ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। ২৫ মণ ওজনের বাহাদুরকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। চার বছর বয়সী বাহাদুরকে প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতেন মালিক মমিন।

বাহাদুরের মালিক আবদুল মমিন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের সাত আনা গ্রামের বাসিন্দা।

চার বছর আগে শখ করে জয়পুরহাট থেকে একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের কালো ষাঁড় কিনে তিনি লালন-পালন শুরু করেন। ষাঁড়টির নাম রাখেন বাহাদুর। প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে বাহাদুরকে। বিশালদেহী এ ষাঁড় কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

আবদুল মমিন জানান, বাহাদুরকে দেশীয় প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। ভুসি, ছোলা, ধানের কুঁড়া, খড় ও ঘাস খাওয়ায়ে বড় করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঝে-মধ্যে বিচি কলা খাওয়ানো হয়েছে। বাহাদুরকে প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হতো। বর্তমানে বাহাদুরের ওজন হয়েছে ১ হাজার কেজি বা ২৫ মণ। কয়েকজন এসে বাহাদুরের দাম বলেছেন ৮ লাখ টাকা।

তিনি জানান, বাহাদুরকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। দুইটি সিলিং ফ্যানের নিচে বাহাদুরকে রাখা হয় সবসময়। ভ্যাপসা গরমের কারণে তার গায়ে দেওয়া হয় পানি। বাহাদুর এবার এ উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু বলে দাবি করেন মমিন।

বাহাদুরের চিকিৎসায় নিয়োজিত আজিজার রহমান জানান, দেশীয় প্রাকৃতিক উপায়ে বাহাদুরকে লালন-পালন করেছে মমিন। কোনো ক্ষতিকর ওষুধ সেবন করিয়ে মোটাতাজা করা হয়নি। খুব একটা রোগ বালাই ছিল না বাহাদুরের শরীরে। মাঝে-মধ্যেই বাহাদুরকে দেখাশোনা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন