নয় মাসের সর্বোচ্চে ব্রাজিলের আকরিক লোহা রফতানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বে আকরিক লোহা রফতানিকারক দেশের তালিকায় ব্রাজিল দ্বিতীয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ পণ্যটির রফতানি আগের নয় মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির বৃহৎ আকরিক লোহা খনি ভেল দুর্ঘটনা কাটিয়ে পূর্ণ কার্যক্রমে ফেরায় সামগ্রিকভাবে ব্রাজিলের আকরিক লোহা রফতানি বেড়েছে। ব্রাজিলের সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

ব্রাজিলের বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রাজিল থেকে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৩ লাখ টন আকরিক লোহা রফতানি হয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে মোট ৩ কোটি ৭২ লাখ টন আকরিক লোহা রফতানি হয়েছিল।

চলতি বছরের জুনে ব্রাজিল মোট ৩ কোটি ৬ লাখ টন আকরিক লোহা রফতানি করেছিল। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে খনিজ ধাতুটির রফতানি বেড়েছে ৩৭ লাখ টন। মে মাসে দেশটি থেকে খনিজ পণ্যটির রফতানি পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩৭ লাখ টন। আর এপ্রিলে সব মিলিয়ে রফতানি হয়েছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ টন।

এদিকে দেশটি থেকে বিশ্ববাজারে আকরিক লোহা রফতানির পরিমাণ বাড়তির দিকে থাকলেও কমতে পারে ভেলের রফতানি। ভেল খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কয়েকটি কূপ পুনরায় কার্যক্ষম হলেও গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় চার কোটি টন কম আকরিক লোহা উত্তোলন করবে তারা। এতে গত বছরের তুলনায় তাদের রফতানির গড় পরিমাণ কমে আসবে। তবে বিশ্ববাজারে খনিজ পণ্যটির দাম চাঙ্গা থাকায় মুনাফা ঘাটতির আশঙ্কা করছে না খনি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ব্রাজিলের মিনাস গেরেইস অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকরিক লোহা খনি ভেল। খনিটি থেকে প্রতি বছর গড়ে তিন কোটি টন আকরিক লোহা উত্তোলন করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি খনিটির বাঁধ ধসে ২৩০ জন শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় ভেলের প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করে ব্রাজিল সরকার। এ সময় দেশটির আকরিক লোহা উত্তোলন কমে যায়। পাশাপাশি রফতানিতেও ভাটা পড়ে। কিন্তু এর পরের মাসেই খনিজ পণ্যটির রফতানি বাড়ায় ভেল কর্তৃপক্ষ। এতে দেশটির সম্মিলিত আকরিক লোহা রফতানি পুনরায় চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন