‘বি’ ক্যাটাগরিতে পিপলস ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ায় পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৮ হিসাব বছরে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮৭ পয়সা। গতকাল রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।

এদিকে চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ৮৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৪ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৭২ পয়সা।

২০১৭ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় পিপলস ইন্স্যুরেন্স। ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ ও ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার পিপলস ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২১ টাকা। সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

১৯৯০ সালে তালিকাভুক্ত পিপলস ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৬২ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ৭৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৯ দশমিক ৪৫, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১২ দশমিক ২৪।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন