লাল মাংসেও ক্ষতি নেই!

ফিচার ডেস্ক

শরীর ঠিক রাখতে ও সুস্থ থাকতে অনেকে খাদ্যতালিকা থেকে মাংস একেবারেই ছাঁটাই করে ফেলেছেন। কিন্তু লাল মাংস মানেই ক্ষতিকর নয়। এর বহু উপকারিতাও রয়েছে। যেহেতু মাংসের ক্ষতিকর অংশ চর্বি, তাই রান্নার আগে মাংস থেকে চর্বি বাদ দিতে হবে। তবে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে, তারা লাল মাংস না খেলেই ভালো। অন্যদিকে যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক আছে ও মেদ নেই, তারা অনায়েসে পরিমিত পরিমাণে লাল মাংস খেতে পারেন।

লাল মাংসে রয়েছে প্রোটিন ও খনিজ। এর মধ্যকার জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ভিটামিন ‘বি’ শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। চর্বিহীন লাল মাংস টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে, ওজন ঠিক রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

লাল মাংস রান্না করার ওপরও এর পুষ্টিমান নির্ভর করে। বেশি তাপে রান্না করলে এর প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করতে হবে।

মাংস ক্যালরিবহুল খাবার বিধায় এটি খাদ্যতালিকায় রাখলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পাশাপাশি মাংস খাওয়ার ফলে সৃষ্ট অন্যান্য শারীরিক সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে। যাদের মাংস খেলে বদহজম, পেটে গ্যাস জমাসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, তারা খাদ্যতালিকায় মাংসের পাশাপাশি রাখুন সালাদ ও শাকসবজি। এর পরও যদি পেটে গ্যাস জমে, তাহলে প্রতিবেলা মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা চিবিয়ে খান বা আদা রস করে খান। পেটে আর গ্যাস জমবে না। তবে পেটে যদি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হয়, তাহলে ওষুধ খাবেন না। সহনীয় গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে। পেট ফেঁপে থাকলে কাঁচা রসুন বেশ উপকার দেয়। এছাড়া যদি বদহজম হয়, তাহলে এক টেবিল চামচ আদার রস, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ ভালো করে মিশিয়ে খান। সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাবেন। আদা কুচি লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেলেও উপশম হবে সমস্যার। বদহজমে স্বস্তি পাওয়ার জন্য দুই কাপ পানিতে একটুখানি দারচিনি ভেঙে দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে মধু মিশিয়ে গরম গরম পান করুন। বদহজমে কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলে বেশ উপকার পাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন