বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, আকরাম হোসেন আবির ওরফে আদনান ও শফিউর রহমান ফারাবী।
আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক। বাকি আসামিরা গ্রেফতার আছেন। কারাগারে থাকা কয়েকজন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। তখন আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে চাপাতির কোপে ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ আহত হন। অভিজিৎ ও রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তারা দেশে এসেছিলেন। মেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন।
অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়। ঘটনার পরদিন তিনি শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এই মামলা তদন্ত করে। তারা গত ১৩ মার্চ মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ১১ এপ্রিল আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পলাতক আসামি জিয়াউল ও আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেন।
