ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিজের অনভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলকাতা সিটি করপোরেশনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সেখান থেকে একজন বিশেষজ্ঞকে শিগগিরই ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কলকাতা সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যিনি কাজ করেছেন, সেই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে আমন্ত্রণত্রও পাঠানো হয়েছে। তিনি কথা দিয়েছেন আগামী রোববার এখানে আসবেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বর্ষাকালে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল এক সময় নিয়মিত ঘটনা। তবে সারাবছর ধরে নজরদারি ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোয় মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বেশ সাফল্য পেয়েছে কলকাতা সিটি করপোরেশন।
কলকাতার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর কলকাতা সিটিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ এবং কলকাতার সেই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, উনি এলে আপনাদের সবাইকে বলব কীভাবে তারা মোকাবেলা করে। আমি বলতে চাই, আমার সততার কমতি নাই। আমার এক্সপেরিয়েন্সের কমতি আছে।
এসময় ডেঙ্গুর প্রকোপ স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ গেলে মশক নিয়ন্ত্রণ সেলকে আরো শক্তিশালী করে বছরে ৩৬৫ দিন এ বিষয়ে কাজ করার ওপর জোর দেন উত্তরের মেয়র।
গত জুন মাসের শুরু থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাড়তে থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন। কিন্তু জুলাইয়ের শেষে এসে এ রোগ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, এডিস মশার প্রজননস্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা না এলে সেপ্টেম্বরে এ রোগের প্রকোপ আরো বাড়তে পারে।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রমে শিথিলতার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন মশা মারতে যে ওষুধ দিচ্ছে তা কার্যকর নয় বলে আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় উঠে আসে।
এ বিষয়ে মেয়র আতিক বলেন, যে চালানের সব ওষুধ খারাপ, সেই চালানটা আমরা বাতিল করে দিয়েছি। ওই চালানের কোনো ওষুধ কিন্তু ছিটানো হচ্ছে না। পরবর্তী যে ওষুধের চালানটা পেয়েছি, সেটা ছিটানো হচ্ছে। সেটা আইসিডিডিআর,বির অনুমোদিত, অন্যান্য এজেন্সির অনুমোদিত।