গত অর্থবছরে বিমানের মুনাফা ২৭২ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আয় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থাটির মুনাফা হয়েছে ২৭২ কোটি টাকা।

গতকাল সচিবালয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সার্বিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে জেট ফুয়েলের মূল্য বাবদ বিপিসির পাওনা এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে এ বছরের পাওনা ও আগের বকেয়া বাবদ ৫৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রি সম্পূর্ণ অটোমেশন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আগমনী যাত্রীদের প্রথম ব্যাগেজ ফ্লাইট অবতরণের ১৬ মিনিটে এবং শেষ ব্যাগেজ ৬০ মিনিটের মধ্যে ব্যাগেজ বেল্টে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যাগেজ একই ফ্লাইটে না এলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে যাত্রীর বাড়িতে ব্যাগেজ পৌঁছানোর নিশ্চিত করা হচ্ছে।

মো. মাহবুব আলী বলেন, নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট উড্ডয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগ এবং তদারকি বাড়ানো হয়েছে। এতে বিমানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, পাশাপাশি বিমানের আয়ও বেড়েছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিমানে দুর্নীতি কমানোর ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা, তারা তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে। বিমানের ক্ষেত্রে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। যেখানেই দুর্নীতি থাকবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেব। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, আমাদের বড় এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ধরতে চাই। মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোর অধিকাংশ যাত্রী প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক। তারা দেশী এয়ারলাইনস বিমানকে পেলে সেখানেই উঠবে। ড্রিমলাইনার ৭৮৭ এসে বসে থাকবে ব্যাপারটি তা নয়। বিমানের আরো কিছু রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চীন, জাপান ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাপানে আমাদের সরাসরি ফ্লাইট যেত, এখন সিউল হয়ে আমরা জাপান যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মুহম্মাদ এনামুল বারী, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারহাত হাসান জামিল, পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট) মো. মমিনুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা, বিক্রয় ও বিপণন) মাহবুব জাহান খান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার বিনিত সুদ, পরিচালক প্রকৌশলী খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন